‘বিবরণমূলক লেখা’ ও তা নিয়ে প্রশ্নোত্তর। বিবরণমূলক লেখা: বিবরণমূলক লেখায় কোনো ব্যক্তি, বস্তু, ঘটনা, অনুভূতি ইত্যাদি নিয়ে বস্তুনিষ্ঠ বর্ণনা প্রদান করা হয়। বর্ণনার সঙ্গে প্রয়োজনীয় ব্যাখ্যা বিবরণমূলক লেখাকে সমৃদ্ধ করে। ‘পিরামিড’ একটি বিবরণমূলক লেখা। ‘পিরামিড’ রচনাটি নিয়েই আজকের প্রশ্নোত্তর।
১. প্রশ্ন: লেখক এখানে কিসের বিবরণ দিয়েছেন?
উত্তর: লেখক এখানে প্রাচীন পিরামিডের বিবরণ দিয়েছেন।
২. প্রশ্ন: পিরামিডগুলো কারা তৈরি করেছিলেন এবং কখন তৈরি করেছিলেন?
উত্তর: মিশরের ফারাওরা প্রায় সাড়ে ছয় হাজার বছর আগে পিরামিডগুলো তৈরি করেছিলেন।
৩. প্রশ্ন: পিরামিডগুলো কেন তৈরি করা হয়েছিল?
উত্তর: ফারাওদের বিশ্বাস ছিল মৃত্যুর পর মানুষের লাশ পচে বিনষ্ট হয়ে গেলে তাঁরা অনন্ত জীবনের অধিকারী হতে পারবেন না। তাই তাঁরা মৃতদেহকে বিশেষ কায়দায় ‘মমি’ বানিয়ে পিরামিডের ভেতরে রেখে দিতেন। শক্ত পিরামিডের ভেতরে ঢুকে কেউ ‘মমি’কে ধ্বংস করা তো দূরের কথা, ছুঁতেও পারবে না। এতে তাঁদের দেহ বহুদিন অক্ষত থাকবে। তারপর তাঁরা আবার একদিন জীবন পাবেন। মূলত অনন্ত জীবনের প্রত্যাশায় ফারাওরা পিরামিডগুলো তৈরি করেছিলেন।
৪. প্রশ্ন: পিরামিডগুলো কীভাবে তৈরি করা হয়েছিল?
উত্তর: পিরামিডগুলো বড় বড় পাথরের তৈরি। বিশাল আকারের পাথর কেটে পাওয়া বড় আকারের পাথরের টুকরার ওপর টুকরা বসিয়ে পিরামিড তৈরি করা হয়েছিল।
৫. প্রশ্ন: বাংলাদেশের যেকোনো পুরাকীর্তির
সঙ্গে পিরামিডের এর মিল-অমিল খুঁজে বের করো।
উত্তর: বাংলাদেশে অনেক পুরাকীর্তি আছে। তার মধ্যে বিখ্যাত একটি পুরাকীর্তি হচ্ছে পাহাড়পুরের সোমপুর বিহার। তবে পিরামিডের সঙ্গে এর মিল-অমিল দেওয়া হলো:
১. পিরামিডের মতো সোমপুর বিহারও একটি প্রাচীন স্থাপনা। তবে পিরামিডের প্রাচীনত্বের চেয়ে এর প্রাচীনত্ব অনেক কম।
২. পিরামিড যেমন ফারাও রাজারা তৈরি করেছেন, সোমপুর বিহারও পাল রাজাদের কীর্তি।
৩. পিরামিডে মৃত রাজাদের দেহ মমি করে রাখা হতো, অন্যদিকে সোমপুর বিহারে বৌদ্ধ ভিক্ষুরা বসবাস করতেন এবং শাস্ত্র চর্চা করতেন।
৪. পিরামিড ত্রিকোণবিশিষ্ট, আর সোমপুর বিহারটি চতুষ্কোণবিশিষ্ট। তবে পিরামিডের ভেতরে যেমন ছোট ছোট কুঠুরি রয়েছে, বিহারের ভেতরেও সে রকম কুঠুরি আছে।
৫. বিহারের দেয়ালে টেরাকোটা চিত্র থাকলেও পিরামিডের দেয়ালে সে রকম কোনো
চিত্র নেই।
জাহেদ হোসেন, সিনিয়র শিক্ষক, বিয়াম মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ঢাকা