মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় পদার্থবিজ্ঞান অংশ থেকে ২০ নম্বরের প্রশ্ন করা হয়ে থাকে। এখানে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে যে মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার জন্য পদার্থবিজ্ঞানের প্রস্তুতি বিশ্ববিদ্যালয় ও ইঞ্জিনিয়ারিং থেকে বেশ আলাদা।
বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই দেখা যায় মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্ন ইসহাক স্যারের বই থেকে করা হয়ে থাকে। সঙ্গে বাড়তি তথ্যগুলো তপন স্যারের বই থেকে পড়তে হবে।
স্যারদের বইয়ের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ লাইনগুলোর দিকে বেশি মনোযোগ দিতে হবে এই শেষ সময়ে।
গত কয়েক বছর স্যারদের বইয়ের অনুশীলনী থেকে বেশি প্রশ্ন আসতে দেখা যাচ্ছে। তাই অবশ্যই অনুশীলনীর প্রশ্নগুলো সমাধান করতে হবে।
পদার্থবিজ্ঞানের গুরুত্বপূর্ণ সূত্রগুলো ভালোভাবে বুঝে মনে রাখতে হবে।
বইয়ের ছক, পার্থক্য, মোটা করা লাইনগুলোর দিকে মনোযোগ দিতে হবে।
বিগত বছরে মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় আসা প্রশ্নগুলো বুঝে সমাধান করতে হবে এবং যেসব বিষয় থেকে প্রশ্ন এসেছে, সেসব বিষয় বই থেকে রিভিশন করতে হবে।
শেষ সময়ে বিভিন্ন অনুশীলনমূলক বই থেকে নির্দিষ্ট সময় ধরে বারবার পরীক্ষা দাও। প্রথম আলো থেকেও তোমাদের জন্য মডেল টেস্টের আয়োজন করা হয়েছে।
বইয়ের উদাহরণ ও অনুশীলনীতে থাকা ছোট ছোট অঙ্ক করে ফেলতে হবে।
তোমরা অনেকেই অঙ্ক নিজের হাতে না করে একবার রিডিং পড়ে যাও, যা কোনোভাবেই করা যাবে না।
বইয়ের উদাহরণ ও অনুশীলনীর অঙ্কগুলো বারবার করলে তোমার মধ্যে একটা আত্মবিশ্বাস তৈরি হবে, যা পরীক্ষার হলে তোমাকে দারুণভাবে সাহায্য করবে।
লগারিদম, ত্রিকোণমিতি, সংখ্যার বর্গ ও বর্গমূলের মানগুলো মনে রাখলে তোমার জন্য অঙ্কগুলো খুব তাড়াতাড়ি করা সহজ হবে।
একদম না বুঝে কোনো কিছু মুখস্ত করা
কিছু নির্দিষ্ট অধ্যায় পড়ে যাওয়া। সব অধ্যায় সম্পর্কে ভালো ধারণা না থাকলে পরীক্ষার হলে বিপদ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
তুমি যে অধ্যায় সবচেয়ে ভালোভাবে পড়েছ, সেই অধ্যায় থেকে সবচেয়ে কঠিন প্রশ্নটা আসতে পারে আর যে অধ্যায় তুমি পড়োনি, সেই অধ্যায় থেকে সবচেয়ে সহজ প্রশ্নটা আসতে পারে।
মেডিকেলের প্রস্তুতি যেহেতু আলাদা, তাই তোমাকে অবশ্যই বই থেকে গুরুত্বপূর্ণ লাইনগুলো অবশ্যই ভালোভাবে দেখে যেতে হবে।
পদার্থবিজ্ঞানের অনুধাবনমূলক প্রশ্নগুলো ঠান্ডা মাথায় পড়ে উত্তর করতে হবে।
ছোট ছোট যে অঙ্ক আসবে, সেগুলো সম্ভব হলে শুরুতেই শেষ করে ফেলতে হবে।
শুরুতে অঙ্ক করতে গেলে অনেক সময় উত্তর না মিললে শিক্ষার্থীরা ঘাবড়ে যায়। এটা যেন কোনোভাবেই না হয়, সেটা খেয়াল রাখতে হবে।
সর্বোপরি মনে রাখতে হবে যে মেডিকেলের ভর্তি পরীক্ষা মাত্র এক ঘণ্টার ব্যাপার, কিন্তু এই এক ঘণ্টা তোমার জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এক ঘণ্টা হতে পারে।
তাই এই সময় তোমাকে মাথা ঠান্ডা রাখতে হবে, আত্মবিশ্বাস ধরে রাখতে হবে এবং একই সঙ্গে নেগেটিভ মার্কিং যেন বেশি না হয়, সে ব্যাপারেও খেয়াল রাখতে হবে।
পরীক্ষার আগে সুস্থতা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। তোমাদের সবার জন্য শুভকামনা রইল।
ডা. অন্তর সাহা, জাতীয় মেধায় ৩৭তম (২০১৬-১৭)