নবম শ্রেণির পড়াশোনা
প্রিয় শিক্ষার্থী, তোমরা ইতিমধ্যে অবগত আছ, সব বিজ্ঞানের রানি হলো গণিত। গণিতের দক্ষতা অর্জনের মাধ্যমে তোমরা তোমাদের উচ্চশিক্ষার ভিত্তি মজবুত করতে পারবে। যেহেতু সৃজনশীল অংশের ‘ঘ বিভাগ (পরিসংখ্যান)’–এর দুটি সৃজনশীল প্রশ্ন থেকে যেকোনো একটির উত্তর দেওয়া যাবে। তাই আমরা আজ এ অধ্যায়ের প্রাথমিক ধারণা ও গড় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব।
পরিসংখ্যান শব্দটির ইংরেজি পরিভাষা Statistics. সংখ্যাভিত্তিক কোনো তথ্য বা ঘটনা হলো পরিসংখ্যান, আর পরিসংখ্যানে ব্যবহৃত সংখ্যাসূচক তথ্যসমূহ হচ্ছে উপাত্ত বা Data. উপাত্তে ব্যবহৃত সংখ্যাসমূহ চলকের মান নির্দেশ করে। পরিসংখ্যানে ব্যবহৃত চলক বা Variable দুই প্রকারের হয়। যেমন বিচ্ছিন্ন চলক ও অবিচ্ছিন্ন চলক।
বিচ্ছিন্ন চলক (Discrete Variable): যে চলকের মান শুধু পূর্ণসংখ্যা হয় তা বিচ্ছিন্ন চলক। যেমন জনসংখ্যা, পরীক্ষার উত্তরপত্রের নম্বর ইত্যাদি।
অবিচ্ছিন্ন চলক (Continious Variable): যেসব চলকের মান যেকোনো বাস্তব সংখ্যা হয়, সেসব চলক অবিচ্ছিন্ন চলক। যেমন বয়স, উচ্চতা, ওজন ইত্যাদি।
অনুসন্ধানাধীন অবিন্যস্ত উপাত্তসমূহ মানের ক্রমানুসারে সাজালে উপাত্তসমূহ মাঝামাঝি কোনো মানের কাছে পুঞ্জীভূত হয়। আবার অবিন্যস্ত উপাত্তসমূহ গণসংখ্যা নিবেশন সারণিতে উপস্থাপন করা হলে মাঝামাঝি একটি শ্রেণিতে গণসংখ্যার প্রাচুর্য দেখা যায়। অর্থাৎ মাঝামাঝি একটি শ্রেণিতে গণসংখ্যা খুব বেশি হয়। বস্তুত উপাত্তসমূহের কেন্দ্রীয় মানের দিকে পুঞ্জীভূত হওয়ার এ প্রবণতা হলো কেন্দ্রীয় প্রবণতা (Central Tendency)।
কেন্দ্রীয় প্রবণতার পরিমাপ তিনটি। যথা—১. গড় বা গাণিতিক গড়, ২. মধ্যক ও ৩. প্রচুরক।
গড় বা গাণিতিক গড় (Mean or Arithmetic Average): উপাত্তসমূহের সমষ্টিকে উপাত্তসমূহের সংখ্যা দ্বারা ভাগ করলে গড় মান পাওয়া যায়।
সরাসরি গড় = উপাত্তসমূহের সমষ্টি / উপাত্তসমূহের সংখ্যা
মোহাম্মদ ইমাম হোসেন, মাস্টার ট্রেইনার ও সহকারী শিক্ষক, চাটিতলা উচ্চ বিদ্যালয়, নাঙ্গলকোট, কুমিল্লা