ডিজিটাল প্রযুক্তি - নবম শ্রেণি নতুন শিক্ষাক্রম নতুন বই

অষ্টম শ্রেণির পড়াশোনা

শিখন অভিজ্ঞতা–১

সেশন-১: সত্য অনুসন্ধান

ইন্টারনেটের সহজলভ্যতার কারণে আমরা খুব সহজে যেকোনো তথ্য এক মুহূর্তেই অনুসন্ধান করে বের করে ফেলি। আবার এই ইন্টারনেটের সহজলভ্যতার সুযোগ নিয়ে কিছু অসাধু মানুষ ভুল তথ্য ছড়িয়ে দিয়ে আমাদের বিভ্রান্ত করছে। আমরা আমাদের যে স্কুল বুলেটিন তৈরি করব, সেখানে আমরা সবাই কমপক্ষে একটি করে প্রচারিত ভুল তথ্যের বিপরীতে সঠিক তথ্য খুঁজে বের করব এবং সে সম্পর্কে একটি করে নিবন্ধ বা আর্টিকেল লিখব।

কাজটি করতে হলে আমাদের আগে বুঝতে হবে, কীভাবে ভুল তথ্য প্রচারিত হতে পারে। নিচের ঘটনাগুলো পড়ে আমরা খুঁজে বের করব, কীভাবে ভুল তথ্য প্রচারিত হয়ে থাকে।

ঘটনা–১

সাগর পড়াশোনা শেষ করে কয়েকটি ব্যাংকে চাকরির আবেদন করেছে। চাকরির সাক্ষাত্কারের জন্য সে প্রস্তুতি নিচ্ছে। একদিন সে বাসে বসে চাকরির সাক্ষাত্কারবিষয়ক একটি বই পড়ছিল। এই সময় তার পাশের সিটে বসা একজন লোক তাকে চাকরির বই পড়তে দেখে আলাপ করতে করতে জানাল, সে লোকটির বড় ভাই একটি বড় ব্যাংকে কাজ করে। কিছু টাকা দিলে সে তার ভাইয়ের কাছে সাগরের চাকরির ব্যাপারে বলবে। সাগর রাজি হয়ে টাকার ব্যবস্থা করল। এক সপ্তাহের মধ্যে লোকটি সাগরকে ডেকে একটি চিঠি দিল। সাগর চিঠি খুলে দেখল এটি তার নামে ওই ব্যাংক থেকে নিয়োগপত্র, অর্থাৎ সাগরের চাকরি হয়ে গেছে। লোকটি সাগরকে একটি পত্রিকার ওয়েবসাইটও দেখাল, যেখানে নিয়োগপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের অ্যাপ্লিকেশন নম্বর দেওয়া আছে, সাগর তার অ্যাপ্লিকেশন নম্বরও দেখতে পেল। সাগর খুশি হয়ে লোকটিকে আরও কিছু টাকা দিল। চিঠিতে উল্লিখিত দিনে সাগর ওই ব্যাংকে উপস্থিত হয়ে জানল তার হাতে থাকা নিয়োগপত্রটি আসলে নকল।

একটু চিন্তা করে বলি তো, বাসের ওই অসাধু লোকটি কীভাবে বিশ্বাসযোগ্যভাবে নকল পরিচয়পত্র আর ওয়েবসাইট দেখাল?

ঘটনা–২

সাগরের বোঝা উচিত ছিল যে চাকরির পরীক্ষা না দিয়ে কীভাবে চাকরি হয়? এ চিন্তা না করে লোকটিকে বিশ্বাস করেছে। তা ছাড়া চাকরির নিয়োগপত্র কখনো কোনো ব্যক্তির কাছে হাতে হাতে দেওয়া হয় না। এ ছাড়া যে ব্যাংকের ওয়েবসাইট দেখাল, সেটি ছিল একটি পত্রিকার ওয়েবসাইট।

প্রকাশ কুমার দাস, সহকারী অধ্যাপক, মোহাম্মদপুর প্রিপারেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ঢাকা