শনি গ্রহ, সৌরকলঙ্ক, জোয়ার-ভাটা, কেন্দ্রাতিগ শক্তি
শনি গ্রহ, সৌরকলঙ্ক, জোয়ার-ভাটা, কেন্দ্রাতিগ শক্তি

সংক্ষেপে জেনে রাখি - শনি গ্রহ, সৌরকলঙ্ক, জোয়ার-ভাটা, কেন্দ্রাতিগ শক্তি

শনি গ্রহ

শনি গ্রহ

শনি সৌরজগতের দ্বিতীয় বৃহত্তম গ্রহ। সূর্য থেকে এর দূরত্ব ১৪৩ কোটি কিলোমিটার। শনি গ্রহ উজ্জ্বল বলয় দ্বারা বেষ্টিত এবং এর ভূত্বক বরফে ঢাকা। সূর্যের চারদিকে শনির একবার ঘুরে আসতে সময় লাগে পৃথিবীর প্রায় ২৯.৫ বছরের সমান। গ্রহটি পৃথিবী থেকে প্রায় ৯ গুণ বড় এবং এর রয়েছে ৮২টি উপগ্রহ। ওপরের ছবিটি নাসার ওয়েবসাইটের লাইভ থেকে নেওয়া। সৌরজগতের বর্তমান চিত্র লাইভ দেখতে চাইলে এখানে ক্লিক করুন।

সৌরকলঙ্ক

সৌরকলঙ্ক

সূর্যের গায়ে মাঝেমধ্যে যে কালো দাগ দেখা যায়, তাকে বাংলায় ‘সৌরকলঙ্ক’ এবং ইংরেজিতে সানস্পট (Sunspot) বলে। সূর্যে কোনো কঠিন বা তরল পদার্থ নেই। শতকরা ৫৫ ভাগ হাইড্রোজেন, শতকরা ৪৪ ভাগ হিলিয়াম এবং শতকরা ১ ভাগ অন্যান্য গ্যাসে সূর্য গঠিত। সূর্যের অন্যান্য অংশের চেয়ে সৌরকলঙ্ক অংশে উত্তাপ কিছুটা কম থাকে।

জোয়ার-ভাটা

জোয়ার-ভাটা

চন্দ্র ও সূর্য ভূপৃষ্ঠের জল ও স্থলভাগকে অবিরাম আকর্ষণ করে। এ আকর্ষণের ফলে ভূপৃষ্ঠের পানি নির্দিষ্ট সময় অন্তর প্রতিদিন এক স্থানে ফুলে ওঠে ও অন্য স্থানে নেমে যায়। সমুদ্রের জলরাশির এ নিয়মিত ফুলে ওঠাকে জোয়ার ও নেমে যাওয়াকে ভাটা বলে। জোয়ার–ভাটা প্রতি ৬ ঘণ্টা ১৩ মিনিট পরপর হয়।

কেন্দ্রাতিগ শক্তি

কেন্দ্রাতিগ শক্তি

পৃথিবী তার অক্ষ বা মেরুদণ্ডের ওপর থেকে চারদিকে দ্রুত বেগে ঘুরছে বলে তার পৃষ্ঠ থেকে তরল পানিরাশি চারদিকে ছিটকে যাওয়ার প্রবণতাকেই কেন্দ্রাতিগ শক্তি বলে। পৃথিবী ও চন্দ্রের আবর্তনের জন্য ভূপৃষ্ঠের তরল ও হালকা জলরাশির ওপর কেন্দ্রাতিগ শক্তির প্রভাব বেশি হয়।