যখন একজন লেখক তাঁর কাছে দৃশ্যমান অথবা অদৃশ্যমান কোনো কিছুর লিখিত বর্ণনা দেয়, সেই লেখাকে বিবরণমূলক লেখা বলা হয়। লেখক বিভিন্ন রূপকল্প, উপমা ইত্যাদি তাঁর বর্ণনার জন্য ব্যবহার করতে পারেন, যা বর্ণনাকে সমৃদ্ধ করে। লেখক তাঁর সব ইন্দ্রিয় দিয়ে অনুভব করে কোনো দৃশ্য, বস্তু, ঘটনা অথবা একজন মানুষের বর্ণনা দিতে পারেন। এই বর্ণনা যেকোনো ঘ্রাণ, শব্দ, স্বাদ, অনুভূতি ইত্যাদি নিয়েও হতে পারে। এ ধরনের লেখা সাধারণত লেখকের দৃষ্টিভঙ্গি-নিরপেক্ষ হয়। অর্থাৎ যে বিষয় নিয়ে লেখা হচ্ছে, তা বাস্তবে ঠিক যেমন, তেমন বর্ণনা লেখাতেও প্রকাশ পাবে।
কীভাবে লিখব বিবরণমূলক লেখা:
বিবরণ লেখার ধরাবাঁধা কোনো নিয়ম নেই। দেখার ভঙ্গি ও লেখার ধরন একেকজনের একেক রকম হয়। এমনকি একই বিষয় নিয়ে দুজন লেখকের লেখাও এক রকম হয় না। তবে বিবরণ লেখার সাধারণ কিছু নিয়ম আছে, যা নিচে উল্লেখ করা হলো—
১. প্রথমে লেখার বিষয় ঠিক করতে হয়। সে অনুযায়ী শিরোনাম দিতে হয়।
২. বিষয়টির কোন কোন দিক নিয়ে লেখা যায়, তা ভাবতে হয়।
৩. লেখার সময়ে বিভিন্ন প্রশ্ন করে তার জবাব খুঁজতে হয়। এ ক্ষেত্রে কী, কেন, কীভাবে, কোথায় ইত্যাদি প্রশ্ন কাজে লাগতে পারে।
৪. লেখায় শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ধারাবাহিকতা থাকা দরকার।
৫. অতিরিক্ত আবেগবর্জিত এবং সহজ-সরল ভাষায় বিবরণ তৈরি করতে হয়।
তোমার করণীয়:
তোমার চারপাশের পরিবেশ ভালো করে দেখো। সেখান থেকে বিবরণ লেখার জন্য একটি বিষয় নির্বাচন করো। বিষয় হতে পারে গাছপালা, পশুপাখি, রাস্তা, নদী, মানুষ, প্রতিষ্ঠান কিংবা অন্য যেকোনো কিছু। এমনকি এই সময়ে দেখা কোনো ঘটনাও লেখার বিষয় হতে পারে। বাছাই করা বিষয়ের ওপর ১০০ থেকে ১৫০ শব্দের মধ্যে একটি বিবরণ লেখো।
উত্তর: নিজে চেষ্টা করো।
জাহেদ হোসেন, সিনিয়র শিক্ষক, বিয়াম মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ঢাকা