কবিতার বৈশিষ্ট্যগুলো দেখে নাও:
১. কবিতা ছন্দবদ্ধ হয়।
২. কবিতা পদ্যে রচিত হয়।
৩. কবিতায় সাধারণত পরপর দুই লাইনের শেষে অন্ত্যমিল থাকে।
৪. হাতে তালি দিয়ে সুর করে কবিতা পড়া যায়।
৫. কবিতার লাইনগুলো সাধারণত সমান দৈর্ঘ্যের হয়।
৬. কবিতায় সাধারণত কোনো কাহিনি থাকে না।
৭. কবিতায় সাধারণত কোনো সংলাপ থাকে না।
৮. কবিতা পাঠ বা আবৃত্তি করা যায়।
কবিতার ২টি প্রকারভেদ:
বিষয়, আঙ্গিক, ধারা ও ছন্দ বিবেচনায় কবিতাকে নানাভাবে ভাগ করা যায়। তবে ভাবের দিক থেকে কবিতাকে প্রধানত দুই ভাগে ভাগ করা যায়।
যেমন ১. মন্ময় কবিতা ও ২. তন্ময় কবিতা।
গান
গান মানুষের আবেগ প্রকাশের শুদ্ধতম মাধ্যম। অনেকটা কবিতার মতোই গানও অলংকারসমৃদ্ধ বাণী বিশেষ। গান একধরনের শ্রবণযোগ্য শিল্প, যা সুসংবদ্ধ শব্দ ও সুরের সমন্বয়ে মানুষের হৃদয়ে আনন্দ রসের সৃষ্টি করে। নির্দিষ্ট সুর, তাল ও লয়ে উচ্চারিত ছন্দবদ্ধ রচনা হলো গান। গান দ্বারা গীত, বাদ্য, নৃত্য—এই তিন বিষয়ের সমাবেশকে বোঝানো হয়। স্বর ও ধ্বনির সমন্বয়ে গানের সৃষ্টি। এই ধ্বনি মানুষের কণ্ঠ নিঃসৃতও হতে পারে, আবার যন্ত্রোত্পাদিত হতে পারে, অথবা দুটির সংমিশ্রণও হতে পারে। কিন্তু সব ক্ষেত্রেই সুর ধ্বনির প্রধান বাহন। সুর ছাড়াও তাল গানের অন্যতম উপাদান।
জাহেদ হোসেন, সিনিয়র শিক্ষক, বিয়াম মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ঢাকা