সংক্ষেপে জেনে রাখি

মরুভূমি, তুন্দ্রা অঞ্চল, সেন্ট মার্টিন দ্বীপ , ক্রান্তীয় চিরহরিৎ বৃক্ষের বনভূমি

মরুভূমি

পর্বতের অনুবাত পাশে জলীয় বাষ্পপূর্ণ বায়ু বাধা পেয়ে ওপরে উঠে মেঘের সৃষ্টি করে এবং সে মেঘ থেকে সেখানে বৃষ্টি হয়। কিন্তু প্রতিবাত পাশে বাতাসে জলীয় বাষ্প কম থাকায় সে স্থান বৃষ্টিশূন্য থাকে এবং সেখানে মরুভূমির সৃষ্টি হয়। মরুভূমিতে উদ্ভিদের পরিমাণ কম থাকায় সেখানে বৃষ্টি হলে তা দ্রুত বাষ্পে পরিণত হয়। মরুভূমির উদ্ভিদগুলোর মধ্যে বিভিন্ন ধরনের ক্যাকটাস, গুল্ম, ঔষধি জাতীয় উদ্ভিদ ও ফণিমনসা প্রধান।

তুন্দ্রা অঞ্চল

পৃথিবীর মোট ভূপৃষ্ঠের ১/৯ অংশ দখল করে আছে তুন্দ্রা অঞ্চল। উত্তর আমেরিকা, ইউরোপ ও এশিয়া মহাদেশের উত্তর সীমানা এ অঞ্চলের অন্তর্গত। এ অঞ্চল বছরের অধিকাংশ সময় বরফে আচ্ছাদিত থাকে। বৃষ্টি কম হওয়ার ফলে এ অঞ্চলে উদ্ভিদগুলোর মূলের গভীরতা স্বল্প হয়ে থাকে। এ অঞ্চলে প্রধানত বিভিন্ন ধরনের ঘাস ও ঝোপজাতীয় উদ্ভিদ, ছত্রাক, শৈবাল ইত্যাদি জন্মে। এ ছাড়া বল্গা হরিণ, ইঁদুর, খরগোশ ইত্যাদি প্রাণী লক্ষ করা যায়।

সেন্ট মার্টিন দ্বীপ

বাংলাদেশের সর্বদক্ষিণ প্রান্তে উপকূলীয় দ্বীপ সেন্ট মার্টিন বঙ্গোপসাগরের একটি ক্ষুদ্র ও সৌন্দর্যমণ্ডিত প্রবাল দ্বীপ। দ্বীপটির পশ্চিম তীরে সামুদ্রিক কচ্ছপের নীড়াবাস। সেন্ট মার্টিনের উপকূলবর্তী এলাকা বহু বিচিত্র প্রবাল প্রজাতিসহায়ক মাছ ও অমেরুদণ্ডী প্রাণিকুল দ্বারা পরিবেষ্টিত।

ক্রান্তীয় চিরহরিৎ বৃক্ষের বনভূমি

যে গাছের পাতাগুলো একসঙ্গে কখনো ঝরে পড়ে যায় না, সেই জাতীয় বৃক্ষের বনভূমিকে ক্রান্তীয় চিরহরিৎ বৃক্ষের বনভূমি বলা হয়। এসব বনভূমি সব সময় সবুজ দেখায়। এ জন্য এদেরকে চিরহরিৎ বনভূমি বলা হয়। এ বনভূমির যেসব স্থানে বৃষ্টির পরিমাণ বেশি, সে স্থানের বৃক্ষ চিরহরিৎ প্রকৃতির এবং যে স্থানে বৃষ্টি কম, সে স্থানের উদ্ভিদের পাতা শীতকালে ঝরে পড়ে। বাংলাদেশ চট্টগ্রাম ও সিলেটে এধরণের বনভূমি দেখা যায়।