পঞ্চম শ্রেণির পড়াশোনা
প্রশ্ন: বাস্তুসংস্থান কী?
উত্তর: কোনো স্থানের সকল জীব ও জড় এবং তাদের মধ্যকার পারস্পরিক ক্রিয়াই হলো ওই স্থানের বাস্তুসংস্থান।
প্রশ্ন: বীজের বিস্তরণ বলতে কী বোঝো?
উত্তর: মাতৃ উদ্ভিদ থেকে বিভিন্ন স্থানে বীজের ছড়িয়ে পড়াকেই বীজের বিস্তরণ বলে।
প্রশ্ন: উদ্ভিদের বীজ কীভাবে সৃষ্টি হয়?
উত্তর: উদ্ভিদের পরাগায়নের ফলে বীজ সৃষ্টি হয়।
প্রশ্ন: খাদ্যশৃঙ্খলের শুরু কোথা থেকে?
উত্তর: সবুজ উদ্ভিদ থেকেই প্রতিটি খাদ্যশৃঙ্খলের শুরু।
প্রশ্ন: বীজের বিস্তার কী গড়ে তোলে?
উত্তর: বীজের বিস্তার নতুন নতুন উদ্ভিদ আবাস গড়ে তুলতে সাহায্য করে।
প্রশ্ন: উদ্ভিদ কীভাবে খাদ্য তৈরি করে?
উত্তর: উদ্ভিদ সূর্যের আলো, পানি ও বায়ু থেকে কার্বন ডাই-অক্সাইড ব্যবহার করে নিজের খাদ্য নিজেই তৈরি করে।
প্রশ্ন: খাদ্যশৃঙ্খলে কীভাবে সাপ এবং ইগল একই রকম, তা ব্যাখ্যা করো।
উত্তর: খাদ্যশৃঙ্খলে সাপ এবং ইগল উভয়ই সর্বোচ্চ স্তরের খাদক। কারণ এরা উভয়ই খাদ্যশৃঙ্খলের অন্যান্য প্রাণীকে খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করে। যেমন ইগল ইঁদুর, কাঠবিড়ালি, ব্যাঙ, ঘাসফড়িং ইত্যাদি প্রাণী খেয়ে থাকে।
অন্যদিকে সাপ খায় খরগোশ, ইঁদুর, ব্যাঙ, ঘাসফড়িং ও অন্যান্য ছোট প্রাণী।
তাই বলা যায়, খাদ্যশৃঙ্খলে সাপ ও ইগল উভয়ই খাদক এবং এরা প্রাণী-জাতীয় খাবার খেয়ে বেঁচে থাকে। এভাবেই বলা যায় যে খাদ্যশৃঙ্খলে সাপ ও ইগল একই রকম।
প্রশ্ন: নিচের শব্দগুলো দিয়ে গঠিত খাদ্যশৃঙ্খলের সঠিক ক্রম ব্যাখ্যা করো।
ইগল, সূর্য, ঘাস, পোকামাকড়, সাপ, ব্যাঙ।
উত্তর: প্রদত্ত শব্দগুলো দিয়ে গঠিত খাদ্যশৃঙ্খলের সঠিক ক্রম নিচে দেওয়া হলো:
সূর্য→ঘাস→পোকামাকড়→ব্যাঙ→সাপ→ইগল
ব্যাখ্যা: সূর্য হলো সকল শক্তির উৎস। সবুজ ঘাস সূর্যের আলো ব্যবহার করে নিজের খাদ্য তৈরি করে। পোকামাকড় ঘাস খেয়ে বেঁচে থাকে। ব্যাঙ পোকামাকড়কে খায়। একইভাবে ব্যাঙকে খায় সাপ এবং সাপকে খায় ইগল। এভাবে শক্তি উদ্ভিদ থেকে প্রাণীতে প্রবাহিত হয় খাদ্যশৃঙ্খলের মাধ্যমে।
পারভীন আক্তার, সহকারী শিক্ষক, লালমাটিয়া মডেল স্কুল, ঢাকা