পুনর্বিন্যাসকৃত সিলেবাস অনুসারে
[এর আগের প্রকাশিত লেখা: আবেগ শব্দ]
প্রশ্ন: ভাব প্রকাশের সম্পূর্ণতা অনুসারে ক্রিয়াকে কয় ভাগে ভাগ করা যায়? উদাহরণসহ আলোচনা করো।
উত্তর: ভাব প্রকাশের সম্পূর্ণতা অনুসারে ক্রিয়াকে দুই ভাগে ভাগ করা যায়। যথা:
ক. সমাপিকা ক্রিয়া: যে ক্রিয়াপদ দ্বারা বাক্যের মনোভাব সম্পূর্ণরূপে প্রকাশিত হয়, তাকে সমাপিকা ক্রিয়া বলে। যেমন: বেবি গান গায়। সবুজ ভাত খায়।
খ. অসমাপিকা ক্রিয়া: যে ক্রিয়াপদ দ্বারা বাক্যের ভাবের পরিসমাপ্তি ঘটে না, তাকে অসমাপিকা ক্রিয়া বলে। যেমন: প্রভাতে সূর্য উঠলে...। হাসান ভাত খেয়ে...। এখানে বাক্য দুটিতে সম্পূর্ণ মনের ভাব প্রকাশিত হয়নি। বাক্যগুলো সম্পূর্ণ হতে আরও শব্দের প্রয়োজন। যেমন: প্রভাতে সূর্য উঠলে অন্ধকার দূর হবে। হাসান ভাত খেয়ে ঘুমাতে যাবে।
প্রশ্ন: গঠন-বৈশিষ্ট্য অনুসারে ক্রিয়াপদ কত প্রকার ও কী কী? উদাহরণসহ লেখো।
উত্তর: গঠন-বৈশিষ্ট্য অনুসারে ক্রিয়াকে দুই ভাগে ভাগ করা যায়। যথা:
ক. যৌগিক ক্রিয়া: যে ক্রিয়া একটি অসমাপিকা ও একটি সমাপিকা ক্রিয়া মিলে গঠিত হয়, তাকে যৌগিক ক্রিয়া বলে। যেমন: অন্ধকারে এখানে কেঁপে উঠছে রজনীগন্ধা। সাইরেন বেজে উঠল।
খ. সংযোগমূলক বা মিশ্র ক্রিয়া: বিশেষ্য, বিশেষণ ও ধনাত্মক শব্দের সঙ্গে যে ক্রিয়া গঠিত হয়, তাকে সংযোগমূলক বা মিশ্র ক্রিয়া বলে। যেমন: দর্শন করা, প্রীত হওয়া, গান গাওয়া।
মোস্তাফিজুর রহমান, শিক্ষক, বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ পাবলিক কলেজ, ঢাকা