সংক্ষেপে জেনে রাখি - সামাজিক সাম্য, নগরবসতি, আদর্শ গ্যাস, জনসংখ্যা পিরামিড

সামাজিক সাম্য

জাতি-ধর্ম-বর্ণ-লিঙ্গ-পেশা নির্বিশেষে সমাজের সব সদস্যের সমানভাবে সামাজিক সুযোগ-সুবিধা ভোগ করাকে সামাজিক সাম্য বলে। এ ক্ষেত্রে কোনো ব্যক্তি বা শ্রেণিকে কোনো বিশেষ সুযোগ-সুবিধা দেওয়া যাবে না।

নগরবসতি

যেসব জনবসতির বেশির ভাগ অধিবাসী দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির অর্থনৈতিক কার্যাবলির সঙ্গে যুক্ত থাকে, যেখানে জনসংখ্যা ও জনবসতির ঘনত্ব অনেক বেশি, বসতবাড়িগুলো সাধারণত ইট, পাথর, সিমেন্ট, বালু প্রভৃতি উপাদানের ব্যবহার বেশি হয় এবং মিউনিসিপ্যাল দ্বারা শাসনব্যবস্থা পরিচালিত হয়, তাকে নগরবসতি বলা হয়।

আদর্শ গ্যাস

না, উপরের ছবিতে দেখানো চুলার গ্যাস কিন্তু আদর্শ গ্যাস না, এটা জাস্ট গ্যাসের উদাহরণের একটা ছবি। যে সব গ্যাস সব তাপমাত্রা ও চাপে গ্যাসের সূত্রসমূহ অর্থাৎ বয়েলের সূত্র, চার্লসের সূত্র, অ্যাভোগেড্রোর সূত্র ইত্যাদি মেনে চলে তারাই আদর্শ গ্যাস। প্রকৃতিতে অবশ্য এমন কোনো গ্যাসের অস্তিত্ব নেই, অর্থাৎ কোনো গ্যাসই যথাযথভাবে গ্যাসের সূত্রসমূহ মেনে চলে না। আদর্শ গ্যাস সূত্র হলো আদর্শ গ্যাসসম্পর্কিত একটি সমীকরণ, যেটি ১৮৩৪ সালে বেনোয়া পল এমিল ক্ল্যাপিরন প্রথম উল্লেখ করেন।

জনসংখ্যা পিরামিড

উপরের ছবিতে বাম পাশের চিহ্ন ♂ দিয়ে পুরুষ এবং ডান পাশের চিহ্ন ♀ দিয়ে নারী বুঝানো হয়েছে। জনসংখ্যা কাঠামো নারী-পুরুষ ও বয়সভিত্তিক বিন্যাস গ্রাফে প্রকাশ করলে ত্রিভুজ বা পিরামিড সদৃশ যে নকশা তৈরি হয়, তাকে জনসংখ্যা কাঠামো বলে। উল্লম্ব অক্ষে বয়স এবং অনুভূমিক অক্ষে বামে পুরুষ ও ডানে নারীর সংখ্যা বা শতকরা হার স্তম্ভে স্থাপন করা হয়। উন্নয়নশীল দেশগুলোর এরূপ জনসংখ্যা কাঠামোকে জনসংখ্যা পিরামিড বলে।