সংক্ষেপে জেনে রাখি

শ্বসন, মানচিত্র, কৈশিক পানি, ক্রেসকোগ্রাফ

শ্বসন

যে শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়ায় প্রাণী বিরামহীনভাবে পরিবেশ থেকে অক্সিজেন গ্রহণ করে, গৃহীত অক্সিজেনের সাহায্যে কোষ মধ্যস্থ সরল খাদ্যকে জারিত করে খাদ্যস্থিত স্থিতিশক্তিকে গতিশক্তিতে রূপান্তর করে এবং এতে উত্পন্ন কার্বন ডাই–অক্সাইডকে দেহ হতে ত্যাগ করে তাকে শ্বসন বলে। শ্বসনের দুটি পর্যায় থাকে। যথা— বহিঃশ্বসন ও অন্তঃশ্বসন ।

মানচিত্র

পৃথিবীর বিভিন্ন মহাদেশ, মহাসাগর অথবা তাদের বিভিন্ন অংশের সীমা, আয়তন, অবস্থান এবং তাদের পরস্পরের দূরত্ব বোঝানোর জন্য নির্দিষ্ট মাপনীর পরিপ্রেক্ষিতে সমগ্র ভূপৃষ্ঠের অথবা তার অংশবিশেষের নকশা প্রস্তুত করা হয়। ওই নকশাকে মানচিত্র বলে। এতে নানা প্রকার চিহ্নের সাহায্যে ভূপৃষ্ঠের বিভিন্ন স্থানগুলোকে তাদের পরস্পর দূরত্ব, আয়তন ও সীমা ঠিক করে চিহ্নিত করা হয়।

কৈশিক পানি

মাটির সূক্ষ্মকণার ফাঁকে লেপে থাকা পানিকে কৈশিক পানি বলে। উদ্ভিদ খাদ্য হিসেবে কৌশিক পানি গ্রহণ করে। উদ্ভিদের মূল মাটির গভীরে প্রবেশ করে এবং কৌশিক পানি সন্ধান করে সেটি শোষণ করে নেয়। অন্যদিকে উদ্ভিদ তার গৃহীত অতিরিক্ত পানি প্রস্বেদন প্রক্রিয়ায় বাইরে বের করে দেয়।

ক্রেসকোগ্রাফ

ক্রেসকোগ্রাফ হচ্ছে উদ্ভিদের বৃদ্ধিমাপক যন্ত্র। আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু এটি আবিষ্কার করেন। কলকাতার বসু বিজ্ঞান মন্দিরে ক্রেসকোগ্রাফের একটি মডেল সংরক্ষিত আছে। জগদীশচন্দ্র বসু ঘড়ির যন্ত্রাংশ ও ধোঁয়া সিঞ্চিত কাচের প্লেটের মাধ্যমে যন্ত্রটি তৈরি করেন। তিনি এটির সাহায্যে গাছের অগ্রভাগের বৃদ্ধি পরিমাপ করার উপায় আবিষ্কার করেন।