ইতিমধ্যে আমরা কোন সমস্যাটি নিয়ে কাজ করতে চাই তা নির্ধারণ করে ফেলেছি এবং কিছু তথ্য সংগ্রহও করে ফেলেছি।
আমাদের আশপাশে বিভিন্ন তথ্য ছড়িয়ে রয়েছে, তার থেকে আমাদের প্রয়োজনীয় তথ্যটি আমরা নিয়ে থাকি। এই তথ্য নেওয়ার সময় নিশ্চিত হতে হবে, তথ্যটি শতভাগ সঠিক। কারণ, এ সমাধানগুলো নিয়ে আমরা
শ্রেণিকক্ষের বাইরে সচেতনতা তৈরি করতে যাব, সেখানে ভুল তথ্য চলে গেলে সেটি খুব বিপজ্জনক ফল বয়ে আনতে পারে।
তাই আজকের সেশনের সময়টুকু আমরা কাজে লাগাব আমাদের দলের নির্ধারিত বিষয়বস্তুর ওপর খুঁজে আনা তথ্যগুলো সমন্বয় করতে এবং সেগুলো সাজিয়ে শ্রেণিকক্ষে উপস্থাপন করার জন্য প্রস্তুত করতে। এখানে লক্ষ রাখতে হবে যে, আমাদের উপস্থাপিত তথ্যগুলো সঠিকভাবে যাচাই করতে হবে।
বিভিন্ন পরিস্থিতিতে আমরা বিভিন্ন তথ্য পাব তখন আমাদেরকে মূল্যায়ন করতে হবে, কোন মানুষটি বেশি বিশ্বাসযোগ্য। কম বিশ্বাসযোগ্য একজন মানুষ সামনাসামনি, টেলিফোনে কিংবা ইন্টারনেটে কোনো তথ্য দিলে সেটি আরও দু-একজনের সঙ্গে যাচাই করে নিতে হবে। বিশেষ করে ইন্টারনেটের কোনো তথ্য অনেকে সহজে বিশ্বাস করে, তাই বিশ্বাসযোগ্য ব্যক্তি যদি ইন্টারনেটে পাওয়া কোনো তথ্য আমাদের দেয়, তাহলে আমাকে নিশ্চিত হতে হবে সে তথ্যটি কোন উত্স থেকে পেয়েছে? জানতে হবে তথ্যটি কোনো বিশ্বস্ত ওয়েবসাইট বা পত্রিকা থেকে পেয়েছে কি না?
আমাদের খুঁজে বের করা তথ্যগুলোকে চূড়ান্ত করতে ভুল তথ্য ছেঁকে ফেলতে হবে।
অনেক সময় দেখা যায়, কোনো পত্রিকা বা টেলিভিশনের লোগো
ব্যবহার করে অন্য একটি ভিডিও প্রচার করছে ইন্টারনেটে, যা ওই টেলিভিশনের নয়। এজন্য ভিডিও বা সংবাদে যে তারিখ দেওয়া আছে, ওই তারিখে টেলিভিশন বা পত্রিকার ওয়েবসাইট কিংবা ইউটিউব চ্যানেলে গিয়ে খুঁজে দেখতে পারি, আসলেই সেই তারিখে ভিডিওটি ওই চ্যানেল থেকে প্রচার হয়েছে কি না।
প্রকাশ কুমার দাস, সহকারী অধ্যাপক, মোহাম্মদপুর প্রিপারেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ঢাকা