আবেদনের শেষ তারিখ ৩১ অক্টোবর ২০২৩
হিউম্যান ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন ‘মেধা লালন প্রকল্প’-এর অধীন সুদমুক্ত শিক্ষাঋণ প্রদানের জন্য বিভিন্ন শিক্ষা বোর্ড থেকে শুধু ২০২৩ সালের মাধ্যমিক বা সমমান পরীক্ষায় উত্তীর্ণ দরিদ্র মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের কাছ থেকে দরখাস্ত আহ্বান করছে।
নির্ধারিত আবেদন ফরম ফাউন্ডেশনের অফিস থেকে সরাসরি অথবা ফাউন্ডেশনের ওয়েবসাইট hdfbd.com থেকে সংগ্রহ করা যাবে।
আবেদন ফরম পূরণ করে জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ৩১ অক্টোবর ২০২৩৷
ডাকযোগে বা সরাসরি অফিসে (শুক্র বা শনিবার ও সরকারি ছুটির দিন ব্যতীত অন্যান্য দিন সকাল সাড়ে ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত) আবেদন ফরম জমা দেওয়া যাবে।
মাসিক শিক্ষাঋণের পাশাপাশি প্রকল্পভুক্ত ছাত্রছাত্রীদের প্রতি শিক্ষাবর্ষে শিক্ষা উপকরণ কেনার জন্য অফেরতযোগ্য অনুদান প্রদান করা হবে।
শুধু প্রাথমিকভাবে বাছাই করা ছাত্রছাত্রীদের চূড়ান্ত নির্বাচনী পরীক্ষায় (লিখিত ও মৌখিক) অংশগ্রহণের জন্য ডাকা হবে।
শুধু ২০২৩ সালের মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ দরিদ্র মেধাবী ছাত্রছাত্রীরা আবেদন করতে পারবে।
এই ঋণ শিক্ষা সমাপ্তির দুই বছর পর থেকে পরবর্তী পাঁচ বছরে প্রতিবছর চারটি কিস্তিতে পরিশোধ করতে হবে।
এই ঋণ পরিশোধযোগ্য দেনা হিসেবে বিবেচিত হবে। পিতা বা অভিভাবক এবং ঋণ গ্রহণকারী ছাত্র বা ছাত্রী কর্তৃক যৌথভাবে ঋণ পরিশোধের অঙ্গীকারপত্র প্রদান ছাড়া অন্য কোনো জামিন বা নিশ্চিতকরণের প্রয়োজন হবে না।
বিজ্ঞান বিভাগ থেকে যারা পাস করেছে, তাদের ক্ষেত্রে জেলা সদরে অবস্থিত স্কুলের জন্য ন্যূনতম জিপিএ-৪.৪ এবং জেলা সদরের বাইরে অবস্থিত স্কুলের জন্য ন্যূনতম জিপিএ-৪.২ থাকতে হবে।
বিজ্ঞান বিভাগ ব্যতীত অন্যান্য বিভাগের ছাত্রছাত্রীরা যারা জেলা সদরে অবস্থিত স্কুল থেকে পাস করেছে, তাদের ক্ষেত্রে ন্যূনতম জিপিএ-৪.২ এবং জেলা সদরের বাইরে অবস্থিত স্কুলের জন্য ন্যূনতম জিপিএ–৪.০ বিবেচনা করা হবে। জেলা সদরের বাইরে অবস্থিত স্কুল থেকে পাস করা মেয়েদের ক্ষেত্রে এ শর্তটি ফাউন্ডেশন কর্তৃপক্ষের বিশেষ বিবেচনা সাপেক্ষে শিথিলযোগ্য।
উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ে প্রতি মাসে ১ হাজার ১৫০ টাকা, স্নাতক পর্যায়ে সাধারণ বিষয়ে ১ হাজার ৭০০ টাকা ও টেকনিক্যাল বিষয়ে (এমবিবিএস, কৃষি ও প্রকৌশল বিষয়ে বিএসসি চূড়ান্ত পরীক্ষা পর্যন্ত) ১ হাজার ৮০০ টাকা হারে ঋণ দেওয়া হবে।
এই ঋণ ছাড়াও প্রতি শিক্ষাবর্ষে বই ও শিক্ষা উপকরণের জন্য অনুদান দেওয়া হবে, যা পরিশোধযোগ্য নয়। উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ে বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রছাত্রীদের ৭০০ টাকা, মানবিক বা বাণিজ্য বিভাগের ছাত্রছাত্রীদের ৫০০ টাকা এবং স্নাতক পর্যায়ে সাধারণ বিষয়ে ১ হাজার টাকা এবং টেকনিক্যাল বিষয়ে (এমবিবিএস, কৃষি ও প্রকৌশল) ২ হাজার টাকা হারে প্রতি শিক্ষাবর্ষে অনুদান দেওয়া হবে।
উচ্চমাধ্যমিক শ্রেণি থেকে ছাত্রছাত্রীদের শিক্ষা কোর্স সমাপ্তি পর্যন্ত (অর্থাৎ বাংলাদেশের কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে সাধারণ বিষয়ে স্নাতক ও কিছু ক্ষেত্রে স্নাতকোত্তর; মেডিকেল বিষয়ে এমবিবিএস এবং কৃষি ও প্রকৌশল বিষয়ে বিএসসি চূড়ান্ত পরীক্ষা পর্যন্ত) এই ঋণ চালু থাকবে। তবে উচ্চমাধ্যমিক বা স্নাতক পর্যায়ে যেকোনো চূড়ান্ত পরীক্ষায় কেউ তৃতীয় বিভাগে পাস করলে অথবা জিপিএর ক্ষেত্রে ৩.০০–এর নিচে হলে এই ঋণ প্রদান বন্ধ করে দেওয়া হবে।
ঋণ গ্রহণকারীর শিক্ষাধারায় কোনো বিরতি ঘটলে অথবা লেখাপড়ার ফলাফল অসন্তোষজনক হলে অথবা ঋণসংক্রান্ত শর্তাবলি পালনে ব্যর্থ হলে ঋণ প্রদান বন্ধ করে দেওয়া হবে। সে ক্ষেত্রে উক্ত সময় পর্যন্ত গৃহীত সমুদয় ঋণ পাঁচ বছরের মধ্যে প্রতিবছর চারটি কিস্তিতে পরিশোধ করতে হবে।
মেধা লালন প্রকল্পের সদস্য হিসেবে নির্বাচিত ছাত্রছাত্রীদের ঋণ প্রাপ্তিকালে ফাউন্ডেশন কর্তৃক আয়োজিত পাঠ্যক্রমবহির্ভূত কার্যক্রমে অবশ্যই অংশগ্রহণ করতে হবে। যেকোনো ছুটির সময় পাঠ্যক্রমবহির্ভূত কার্যক্রমের অংশ হিসেবে বাংলাদেশের যেকোনো স্থানে থাকা প্রয়োজন হতে পারে। পাঠ্যক্রমবহির্ভূত কার্যক্রমে অংশগ্রহণের জন্য প্রয়োজনীয় যাবতীয় খরচ ফাউন্ডেশন বহন করবে। ছাত্রীরা গ্রামীণ কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করতে না পারলে, তাদের জন্য বিকল্প কার্যক্রম নেওয়া হবে এবং সে কার্যক্রমে অংশগ্রহণ তাদের জন্য বাধ্যতামূলক থাকবে।
ছাত্রছাত্রীদের বাছাই ও নির্বাচন এবং এই প্রকল্প–সংশিষ্ট অন্য যেকোনো ব্যাপারে ফাউন্ডেশনের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। কোনো প্রকার তদবির/সুপারিশ প্রার্থীর অযোগ্যতা বলে বিবেচিত হবে।
প্রাথমিকভাবে যারা নির্বাচিত হবে, শুধু তাদের চূড়ান্ত নির্বাচনের জন্য ডাকা হবে। যারা প্রাথমিক নির্বাচনে বাদ পড়বে, তাদের আলাদাভাবে কোনো চিঠি দিয়ে জানানো হবে না।
যে বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক পরীক্ষায় পাস করেছে, সেই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক কর্তৃক সত্যায়িত মাধ্যমিক পরীক্ষার ‘ট্রান্সক্রিপ্ট’ বা নম্বরপত্র।
প্রধান শিক্ষকের দেওয়া একটি চারিত্রিক প্রত্যয়নপত্র এবং বিদ্যালয়ের বাইরের কোনো দায়িত্বশীল সম্মানিত ব্যক্তির দেওয়া (তিনি যদি শিক্ষাবিদ হন তবে ভালো) আরেকটি চারিত্রিক প্রত্যয়নপত্র।
যে বিদ্যালয় থেকে আবেদনকারী মাধ্যমিক পরীক্ষায় পাস করেছে, সেই বিদ্যালয়ের অবস্থান সম্পর্কে আবেদনপত্রের ক্রমিক নম্বর (১০) ও (১১)-এর অন্তর্ভুক্ত নির্দেশ মোতাবেক প্রত্যয়নপত্র।
পিতা/মাতা/ভাই/অভিভাবক–এর পেশা ও আয় সম্পর্কে আবেদনপত্রের ক্রমিক নম্বর (১৪), (১৫) ও (১৬)-এর নির্দেশ অনুযায়ী প্রত্যয়নপত্র।
সম্প্রতি তোলা দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি।
আবেদনকারীর নিজ হাতে লেখা দুটি রচনা (প্রতিটি ২০০ শব্দের মধ্যে)। একটি নিজ পরিবারের বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে (বাংলায়), অর্থাৎ পরিবারের বর্তমান অর্থনৈতিক সমস্যা কীরূপ, কীভাবে পরিবারের ভরণপোষণ চলছে, পরিবারের সদস্যদের মধ্যে কে কী করে প্রভৃতির বিস্তারিত ও সুনির্দিষ্ট বিবরণ এবং অন্যটি জীবনের লক্ষ্য সম্পর্কে (ইংরেজিতে)।
হিউম্যান ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন ফ্ল্যাট: ৯/সি, রূপায়ণ শেলফোর্ড ২৩/৬ বীর উত্তম এ এন এম নুরুজ্জামান সড়ক, শ্যামলী, ঢাকা-১২০৭।
ফোন: ০১৭২৭২০৯০৯৮, ৫৮১৫৫৬৯১, ৫৮১৫৫৬৯২
ই-মেইল: hdf.dhaka@gmail.com, info@hdfbd.com