অর্থ ও অন্বয়গতভাবে ক্রিয়া বিশেষণের শ্রেণিবিভাগ - বাংলা ২য় পত্র | এইচএসসি ২০২৪

পুনর্বিন্যাসকৃত সিলেবাস অনুসারে

[এর আগের প্রকাশিত লেখা: ক্রিয়ার ভাব কত প্রকার ও কি কি ]

অধ্যায়: ব্যাকরণিক শব্দশ্রেণি

প্রশ্ন: ক্রিয়া বিশেষণ কাকে বলে? অর্থ ও অন্বয়গতভাবে ক্রিয়া বিশেষণের শ্রেণিবিভাগ উদাহরণসহ আলোচনা করো।

উত্তর: যে শব্দ বাক্যের ক্রিয়াকে বিশেষিত করে, তাকে ক্রিয়া বিশেষণ বলে। যেমন: সে দ্রুত দৌড়াতে পারে, ধীরে ধীরে বায়ু বয়।

অর্থ ও অন্বয়গতভাবে ক্রিয়া বিশেষণকে বিভিন্নভাবে ভাগ করা যায়। যথা: ক. ধরনবাচক ক্রিয়া বিশেষণ: কোনো ক্রিয়া কীভাবে বা কেমন করে সংঘটিত হয়, তাকে ধরনবাচক ক্রিয়া বিশেষণ বলে। যেমন: মামণি ভয়ে ভয়ে কথা বলছে।

খ. কালবাচক ক্রিয়া বিশেষণ: ক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার সময়কে কালবাচক ক্রিয়া বিশেষণ বলা হয়। যেমন: তিনি সন্ধ্যাবেলা বাড়িতে আসবেন।

গ. স্থানবাচক ক্রিয়া বিশেষণ: যে ক্রিয়া বিশেষণ ক্রিয়ার স্থানকে বিশেষায়িত করে, তাকে স্থানবাচক ক্রিয়া বিশেষণ বলে। যেমন: আমি দিনাজপুরে পড়াশোনা করেছি।

ঘ. সংযোজক ক্রিয়া বিশেষণ: দুটি বাক্যের সংযোগের ক্ষেত্রে যে ক্রিয়া ব্যবহৃত হয়, তাকে সংযোজক ক্রিয়া বলে। যেমন: কাজে তার মন নেই এবং সে কাজও পারে না।

ঙ. না–বাচক ক্রিয়া বিশেষণ: যে ক্রিয়া বিশেষণ বাক্যকে না–বাচক বৈশিষ্ট্য দেয়, তাকে না–বাচক ক্রিয়া বিশেষণ বলে। যেমন: তুলির সঙ্গে আমার বন্ধুত্ব হয়নি।

প্রশ্ন: কর্মপদসংক্রান্ত ভূমিকা অনুসারে ক্রিয়াকে কয় ভাগে ভাগ করা যায়। উদাহরণসহ আলোচনা করো।

উত্তর: বাক্যের অন্তর্গত ক্রিয়াকে কী বা কাকে দ্বারা প্রশ্ন করলে যে উত্তর পাওয়া যায়, তাকে বলা হয় কর্মপদ। কর্মপদসংক্রান্ত ভূমিকা অনুসারে ক্রিয়াকে পাঁচটি শ্রেণিতে ভাগ করা যায়। যেমন:

ক. সকর্মক ক্রিয়া: যে ক্রিয়ার কর্ম আছে, তাকে সকর্মক ক্রিয়া বলে। যেমন: আমি চাঁদ দেখছি। নাজমা বই পড়ছে।

খ. দ্বিকর্মক ক্রিয়া: যে ক্রিয়ার দুটি কর্মপদ থাকে, তাকে দ্বিকর্মক ক্রিয়া বলে। যেমন হাবীব হাসিবকে একটি বই দিয়েছে।

গ. অকর্মক ক্রিয়া: যে ক্রিয়ার কর্ম নেই, তাকে অকর্মক ক্রিয়া বলে। যেমন সকাল থেকে বৃষ্টি হচ্ছে।

ঘ. প্রযোজক ক্রিয়া: কর্তার যে ক্রিয়া অন্যকে দিয়ে করানো হয়, তাকে প্রযোজক ক্রিয়া বলে। যেমন: মা শিশুকে চাঁদ দেখাচ্ছে, সাপুড়ে সাপ খেলায়।


মোস্তাফিজুর রহমান, শিক্ষক, বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ পাবলিক কলেজ, ঢাকা