জীবকোষের ভেতরে নিউক্লিয়াস ছাড়া বাকি অংশটি হলো সাইটোপ্লাজম। সাইটোপ্লাজম কোষের ভেতরে বেশির ভাগ অংশজুড়ে অবস্থিত স্বচ্ছ, সমসত্ব, জেলিসদৃশ বা জেলির মতো পদার্থ। সাইটোপ্লাজমের বেশির ভাগই পানি (প্রায় ৮০ শতাংশ)। সাইটোপ্লাজমের অভ্যন্তরে বিভিন্ন সজীব বস্তু থাকে, যাদের একত্রে সাইটোপ্লাজমীয় অঙ্গাণু বলা হয়। যেমন মাইটোকন্ড্রিয়া, প্লাস্টিড (শুধু উদ্ভিদকোষ), গলজিবস্তু, কোষগহ্বর, রাইবোজোম ইত্যাদি। সাইটোপ্লাজমীয় অঙ্গাণুগুলো কোষের বিভিন্ন কাজে নিয়োজিত থাকে।
জীবকোষকে ঘিরে কোষঝিল্লি নামক একটি সজীব প্রতিরক্ষামূলক আবরণ থাকে। এটি মূলত সাইটোপ্লাজমকে ঘিরে থাকে। এটি লিপিড ও প্রোটিন দিয়ে তৈরি নমনীয় আবরণ, যা কোষের ভেতর ও বাইরে বিভিন্ন পদার্থের চলাচল নিয়ন্ত্রণ করে। উদ্ভিদকোষের ক্ষেত্রে কোষঝিল্লির বাইরেও নির্জীব একটি আবরণ থাকে, যাকে বলে কোষপ্রাচীর। কোষপ্রাচীর উদ্ভিদকোষকে আকৃতি প্রদান করে।
আবার উদ্ভিদের ক্ষেত্রে দেখা যায় উদ্ভিদকোষে কোষগহ্বর নামক ফাঁকা জায়গা থাকে, যেখানে পানি, বর্জ্য ও খাদ্য সঞ্চিত থাকে। এটি উদ্ভিদকে এর আকৃতি বজায় রেখে সোজা দণ্ডায়মান থাকতে সাহায্য করে। কোষগহ্বরে পানিশূন্যতা হলে উদ্ভিদ নেতিয়ে পড়ে। এ জন্যই বিভিন্ন গাছকে পানি না পেলে নেতিয়ে পড়তে দেখা যায়।
মো. আবু সুফিয়ান, শিক্ষক, আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ঢাকা