১১. প্রশ্ন: কথাগুলো বুঝিয়ে লেখো।
ক. মৃৎশিল্প খ. শখের হাঁড়ি গ. টেরাকোটা
ঘ. টেপাপুতুল।
উত্তর
ক. মৃৎশিল্প: মাটির তৈরি শিল্পকর্মকে বলা হয় মৃৎশিল্প। এ শিল্পের প্রধান উপকরণ হলো মাটি। তবে সব মাটি দিয়ে এ শিল্পকর্ম হয় না। এর জন্য দরকার পরিষ্কার এঁটেল মাটি। এ ধরনের মাটি বেশ আঠালো। তাই এ মাটি দিয়ে যত্ন আর শ্রমের মাধ্যমে তৈরি হয় মৃৎশিল্প। মাটির হাঁড়ি, কলস, সরা, বাসন-কোসন, পেয়ালা, সুরাই, মটকা, জালা ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য মৃৎশিল্প।
খ. শখের হাঁড়ি: মানুষ শখ করে পছন্দের জিনিস যে মাটির হাঁড়িতে রাখে, সেই হাঁড়িকে শখের হাঁড়ি বলা হয়। শখের হাঁড়ি নানা রঙের ও নানা বর্ণের হয়ে থাকে। কোনো শখের হাঁড়িতে আঁকা থাকে ফুল-পাতা, আবার কোনো শখের হাঁড়িতে আঁকা থাকে মাছের ছবি।
গ. টেরাকোটা: টেরাকোটা শব্দটি লাতিন। ‘টেরা’ অর্থ মাটি আর ‘কোটা’ অর্থ পোড়ানো। মাটি পুড়িয়ে যে শিল্পকর্ম তৈরি হয় তার নাম টেরাকোটা। বাংলার অনেক পুরোনো শিল্প এই টেরাকোটা। নকশা করা মাটির ফলক ইটের মতো পুড়িয়ে তৈরি করা হতো টেরাকোটা। বাংলাদেশের ময়নামতির শালবন বিহার, বগুড়ার মহাস্থানগড়, পাহাড়পুর বৌদ্ধ স্তূপ, দিনাজপুরের কান্তজীর মন্দিরে টেরাকোটার কাজ রয়েছে। তা ছাড়া বাগেরহাটের ষাটগম্বুজ মসজিদেও পোড়ামাটির অপূর্ব সুন্দর কাজ রয়েছে। পোড়ামাটির এই শিল্পকর্ম বাংলার প্রাচীন মৃৎশিল্প।
ঘ. টেপাপুতুল: মাটি দিয়ে কুমোররা অনেক জিনিস তৈরি করেন। এর মধ্যে একটি উল্লেখযোগ্য শিল্পকর্ম হলো টেপাপুতুল। নরম এঁটেল মাটি টিপে টিপে যেসব পুতুল বানানো হয়, তাদের বলা হয় টেপাপুতুল। অনেক রকম টেপাপুতুল হয়।
খন্দকার আতিক, শিক্ষক, উইল্স লিট্ল ফ্লাওয়ার স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ঢাকা