সপ্তম শ্রেণির পড়াশোনা
প্রিয় শিক্ষার্থী, এই শিখন-অভিজ্ঞতায় এমন কিছু কার্যক্রম পরিকল্পনা করা হয়েছে, যা অনুশীলন করে তোমরা সাহিত্যের অন্যতম রূপ হিসেবে কবিতার সঙ্গে নিজের জীবন ও আশপাশের পরিবেশের মধ্যে সম্পর্ক তৈরি করতে পারবে, কবিতার বৈশিষ্ট্য নির্ধারণ করতে পারবে এবং নিজের কল্পনা ও অনুভূতি কাজে লাগিয়ে কবিতা লিখতে উৎসাহ পাবে।
শিক্ষার্থী, কবিতা হচ্ছে মানবমনের আয়না। জীবনের হাসি-কান্না, সুখ-দুঃখের অনেক চিত্রই এই আয়নায় প্রতিফলিত হয়। এটা পৃথিবীর প্রাচীনতম সাহিত্য। শৈশবেই আমাদের সঙ্গে নানা ধরনের কবিতার পরিচয় ঘটে। কবিতা আমাদের বেঁচে থাকতে ও স্বপ্ন দেখতে সাহায্য করে। কবিতার আবৃত্তি শোনা আমাদের বিনোদন দেয়। তাই কবিতা সম্পর্কে জানা প্রয়োজন।
এখন তোমরা ‘মাঝি’ কবিতাটি প্রথমে নীরবে পাঠ করো ও পরে সরবে আবৃত্তি করো। আবৃত্তি করার সময় প্রমিত উচ্চারণের বিষয়টি খেয়াল রাখবে। প্রয়োজনে কোনো মাধ্যম থেকে স্বীকৃত আবৃত্তিকারের আবৃত্তি শুনে নিতে পারো। কোনো শব্দের অর্থ বুঝতে সমস্যা হলে সেগুলো চিহ্নিত করে রাখবে। লেখাটিতে যেসব নতুন শব্দ খুঁজে পাবে, সেগুলো পাঠ্যবইয়ের ‘শব্দের অর্থ’ অংশ থেকে পড়ে নেবে। ‘শব্দের অর্থ’ অংশে দেওয়া শব্দের অর্থের বাইরে আরও কোনো শব্দের অর্থ জানতে তোমার শিক্ষক ও বাংলা অভিধানের সাহায্য নিতে পারো।
জাহেদ হোসেন, সিনিয়র শিক্ষক, বিয়াম মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ঢাকা