শিখন অভিজ্ঞতা ১০: বিবরণমূলক লেখা
প্রিয় শিক্ষার্থীরা, এই শিখন-অভিজ্ঞতায় এমন কিছু কার্যক্রম পরিকল্পনা করা হয়েছে, যেন তোমরা বিবরণমূলক লেখার বৈশিষ্ট্য চিহ্নিত করতে পারো; যেকোনো ব্যক্তি, বস্তু, ঘটনা, অনুভূতি ইত্যাদি বর্ণনামূলক ভাষায় উপস্থাপন করতে পারো; বিবরণমূলক লেখা পড়ে লেখকের দৃষ্টিভঙ্গি ব্যাখ্যা করতে পারো; লেখকের দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে নিজের মতের মিল-অমিল নির্ধারণ করতে পারো এবং এই অভিজ্ঞতার প্রতিফলন হিসেবে নিজেরা বিবরণমূলক লেখা প্রস্তুত করতে পারো।
কার্যক্রম:
∎ ‘পিরামিড’ লেখাটি পাঠ।
∎ ‘পিরামিড’ লেখার ধারণা ও বিষয়বস্তু নিয়ে আলোচনা।
∎ ‘পিরামিড’ লেখায় লেখকের বক্তব্যের সঙ্গে নিজের ধারণার মিল-অমিল বিশ্লেষণ করা।
∎ বিবরণমূলক লেখার ধারণা নিয়ে আলোচনা।
∎ নিজের এলাকার অন্তত ৫০ বছরের পুরোনো কোনো স্থাপত্য সম্পর্কে বিবরণমূলক লেখা প্রস্তুত করা।
‘পিরামিড’ রচনাটির লেখক সৈয়দ মুজতবা আলী। তিনি ১৯০৪ সালে আসামের করিমগঞ্জ জেলায় জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৯৭৪ সালে ঢাকায় মৃত্যুবরণ করেন। আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে অধ্যাপনার মধ্য দিয়ে তাঁর কর্মজীবন শুরু হয়। এ ছাড়া মিসরের একটি বিশ্ববিদ্যালয়েও তিনি কিছুদিন অধ্যাপনা করেন। তাঁর রচনার একটি বড় অংশ হচ্ছে ভ্রমণকাহিনি। সরস ভাষায় বর্ণনাশৈলী সৈয়দ মুজতবা আলীর লেখার অনন্য বৈশিষ্ট্য। ‘পিরামিড’ লেখাটি লেখকের ‘জলে ডাঙায়’ গ্রন্থ থেকে নেওয়া হয়েছে।
জাহেদ হোসেন, সিনিয়র শিক্ষক, বিয়াম মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ঢাকা