রাজপুরীতে গিয়ে ওই অচিন মানুষ সুচ নেওয়ার কথাটাও বলে না। বলতে থাকে অন্য কথা। বলে, আজকের দিন বড় শুভ দিন। আজ হচ্ছে পিটকুড়ুলির ব্রত, আজকের দিনে রানিদের পিঠা বানাতে হয়—এমনই নিয়ম নকল রানি পিঠা বানাতে যায়। সে কাঞ্চনমালাকেও পিঠা বানাতে ফরমাশ দেয়। নকল রানি বানায় পিঠা। সে পিঠা কেউ মুখেও তুলতে পারে না, এমনই বিস্বাদ। দুখিনী কাঞ্চনমালা বানায় চন্দ্রপুলি, মোহনবাঁশি, ক্ষীর মুরলি পিঠা। মুখে দেওয়া মাত্র সবার মন ভরে যায়। এমন স্বাদ তার। নকল রানি উঠানে আলপনা দিতে যায়। কোথায় নকশা কোথায় কী—এখানে এক খাবলা রং লেপে দেওয়া, ওখানে এক খাবলা লেপা। দেখতে যে কী অসুন্দর দেখায়! আর কাঞ্চনমালা আঁকে পদ্মলতা। তার পাশে আঁকে সোনার সাত কলস, ধানের ছড়া, ময়ূর-পুতুল। লোকে তখন বুঝতে পারে কে আসল রানি, আর কে দাসী।
উত্তর
প্রশ্নগুলো হলো—
ক. অসুন্দর আলপনা আঁকে কে?
খ. দুখিনী কাঞ্চনমালা কী পিঠা বানায়?
গ. নকল রানি কোথায় আলপনা দিতে যায়?
ঘ. কেউ পিঠা মুখে তুলতে পারে না কেন?
ঙ. রানিদের কখন পিঠা বানানোর নিয়ম?
খন্দকার আতিক, শিক্ষক, উইল্স লিট্ল ফ্লাওয়ার স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ঢাকা
◀ অনুচ্ছেদটি পড়ে প্রশ্ন তৈরি করা (১৩)