প্রিয় শিক্ষার্থী, এই শিখন-অভিজ্ঞতায় এমন কিছু কার্যক্রম পরিকল্পনা করা হয়েছে, যা অনুশীলন করে তোমরা সাহিত্যের অন্যতম রূপ হিসেবে কবিতার সঙ্গে নিজের জীবন ও আশপাশের পরিবেশের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি করতে পারবে, কবিতার বৈশিষ্ট্য নির্ধারণ করতে পারবে এবং নিজের কল্পনা ও অনুভূতি কাজে লাগিয়ে কবিতা লিখতে উৎসাহ পাবে।
প্রিয় শিক্ষার্থী, প্রথমে তোমরা পাঠ্যবই থেকে ‘নোলক’ কবিতাটি নীরবে পাঠ করো ও পরে সরবে আবৃত্তি করো। আবৃত্তি করার সময় প্রমিত উচ্চারণের বিষয়টি খেয়াল রাখবে। প্রয়োজনে কোনো মাধ্যম থেকে স্বীকৃত আবৃত্তিকারের আবৃত্তি শুনে নিতে পার। কোনো শব্দের অর্থ বুঝতে সমস্যা হলে সেগুলো চিহ্নিত করে রাখবে। লেখাটিতে যেসব নতুন শব্দ খুঁজে পাবে, সেগুলো পাঠ্যবইয়ের ‘শব্দের অর্থ’ অংশ থেকে পড়ে নেবে। ‘শব্দের অর্থ’ অংশে প্রদত্ত শব্দের অর্থের বাইরে আরও কোনো শব্দের অর্থ জানতে তোমার শিক্ষক ও অভিধানের সাহায্য নিতে পারো।
এবার কবিতা থেকে প্রশ্নোত্তর পড়ব
প্রশ্ন: ‘নোলক’ কবিতার মূলভাব কী?
নমুনা উত্তর: নোলক কবিতার মূলভাব মা ও মাতৃভূমির প্রতি অনুরাগ ও ভালোবাসা।
প্রশ্ন: ‘মায়ের সোনার নোলক’ কবি কোথায় খুঁজে বেড়ান?
নমুনা উত্তর: ‘মায়ের সোনার নোলক’ কবি সারা বাংলাদেশে খুঁজে বেড়ান।
প্রশ্ন: এই কবিতায় বাংলাদেশের কোন নিসর্গ-প্রকৃতির বর্ণনা আছে?
নমুনা উত্তর: এই কবিতায় বাংলাদেশের নদীনালা, সবুজ বন, পাখপাখালি, পাহাড়, আকাশ ও অন্ধকার রাতের বর্ণনা রয়েছে।
প্রশ্ন: ‘নোলক’বলতে লেখক কী বোঝাতে চেয়েছেন?
নমুনা উত্তর: ‘নোলক’ বলতে লেখক এখানে আমাদের ঐতিহ্যকে বোঝাতে চেয়েছেন।
প্রশ্ন: কবি মায়ের গয়না ছাড়া ঘরে ফিরে যেতে চান না কেন?
নমুনা উত্তর: নোলক মায়ের অতিপ্রিয় অলংকার। সেটা হারিয়ে গেছে, তাই মায়ের মুখ আজ অলংকারহীন, মলিন। কবি মায়ের সেই হারিয়ে যাওয়া অলংকার খুঁজে বের করার চেষ্টা করছেন। তিনি মায়ের গয়না ছাড়া তাই ঘরে ফিরে যেতে চান না।
জাহেদ হোসেন, সিনিয়র শিক্ষক, বিয়াম মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ঢাকা