সপ্তম শ্রেণির পড়াশোনা
তোমাদের পাঠ্যবইয়ে উল্লিখিত চিঠি প্রসঙ্গে দুটি প্রশ্নোত্তর দেখে নাও।
১. উল্লিখিত চিঠিতে প্রেরক প্রাপককে যা যা জানাতে চেয়েছেন, তা নিজের ভাষায় বলো এবং নিজের ভাষায় লেখো।
নমুনা উত্তর: মুক্তিযুদ্ধ বাঙালির ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। বাঙালির অনেক ত্যাগ, আবেগ ও ভালোবাসা মিশে আছে এই যুদ্ধের সঙ্গে। একই সঙ্গে এতে মিশে আছে অনেক বীর মুক্তিযোদ্ধার নাম। তেমনই একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা ফেরদৌস কামাল উদ্দীন মাহমুদ। তিনি তাঁর মাকে মুক্তিযুদ্ধের সেই সময়ের অবস্থা জানিয়ে চিঠিটি লিখেছিলেন।
ফেরদৌস তাঁর মাকে চিঠিতে জানান, সব বাধা অতিক্রম করে তিনি লক্ষ্যে পৌঁছেছেন। পাকিস্তানি বাহিনীর ওপর প্রতিশোধ নিতে এখন তিনি নিজেকে প্রস্তুত করছেন। তিনি দেশকে দেওয়া তাঁর প্রতিশ্রুতির কথা ভুলেননি। এখন শুধু উপযুক্ত জবাব দেওয়ার পালা। বনে-বাদাড়ে থেকে এখন তাঁর চেহারা জংলিদের মতো হয়েছে, দেখলে তাঁর মা হয়তো তাঁকে চিনবেনই না। এই জংলিভাব তাঁর আচরণেও পরিবর্তন এনেছে। আগে তাঁর ছেলে যেখানে মোরগ জবাই করতে ভয় পেতেন, এখন সে রক্তের সাগরে ভাসছেন।
মুক্তিযোদ্ধা ছেলে তাঁর মাকে এ–ও জানান যে সামনে যেকোনো দিন সেই আকাঙ্ক্ষিত যুদ্ধ শুরু হতে পারে। যে দিনটির জন্য তিনি প্রহর গুনছেন। মণি ভাই যুদ্ধের প্রয়োজনে তাঁদের অফিসার করেননি। এখানে তাঁর অনেক পুরোনো বন্ধুদের সঙ্গে দেখা হয়েছে। তাঁদের কাছে পরিবারের খবর জেনে তিনি খুশি হয়েছেন। এ ছাড়া মায়ের দোয়া নিয়ে আছেন বলে তাঁর মনে কোনো ভয় নেই।
২. চিঠি পড়া, লেখা বা এ–সংক্রান্ত তোমার কোনো অভিজ্ঞতা থাকলে তা লেখো।
চিঠি পড়ার অভিজ্ঞতা: চিঠিতে প্রিয়জনের ছোঁয়া থাকে। চিঠি পড়তে আমার খুব ভালো লাগে। আমার বাবা কিছুদিন বিদেশ ছিলেন। তখন তিনি আমাদের নিয়মিত চিঠি লিখতেন। আমরা অপেক্ষায় থাকতাম, কখন বাবার চিঠি আসবে। চিঠি এলেই আম্মা আমাকে দিয়ে চিঠি পড়াতেন। মনে পড়ে, চিঠি পড়ার সময় আমাদের সবার চোখে খুশির ঝিলিক বয়ে যেত।
জাহেদ হোসেন, সিনিয়র শিক্ষক, বিয়াম মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ঢাকা