[পূর্ববর্তী লেখার পর]
৭. প্রশ্ন: আমরা কেন চিরদিন শহিদ বুদ্ধিজীবীদের স্মরণ করব?
উত্তর: মাতৃভূমির বিপদে যাঁরা এগিয়ে আসেন, তাঁরা আমাদের কাছে সব সময়ই চিরস্মরণীয়। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধ হয়েছিল। এ যুদ্ধ ও স্বাধীনতা লাভের পেছনে অনেক মহান মানুষের অসীম অবদান রয়েছে। চিন্তা, বুদ্ধি, মেধা, সময় ও অর্থ দিয়ে তাঁরা সব সময় মানুষের কল্যাণ চিন্তা করেছেন। স্বাধীনতার জন্য তাঁরা নিজেদের জীবন পর্যন্ত বিলিয়ে দিয়েছেন। আমরা তাঁদের চিরদিন স্মরণ করব।
১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে আমরা অনেক
মানুষকে হারিয়েছি, তাঁরা দেশের জন্য ত্যাগের মহান আদর্শ স্থাপন করে গেছেন। আমরা সে আদর্শকে অনুসরণ করব। নিজেদের আদর্শ মানুষরূপে গড়ে তোলার জন্য তাই সেসব
মানুষকে আমরা চিরদিন স্মরণ করব এবং আদর্শরূপে গ্রহণ করব।
৮. প্রশ্ন: কোন দিনটিকে ‘শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস’ হিসেবে পালন করা হয়? কেন?
উত্তর: ১৯৭১ সালের দীর্ঘ নয় মাসের মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লাখ বাঙালি শহিদ হয়। এর মধ্যে যশস্বী ও প্রতিভাবানদের ধরে নিয়ে ১৪ ডিসেম্বর হত্যা করা হয়। তাই প্রতিবছর ১৪ ডিসেম্বর আমরা ‘শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস’ হিসেবে পালন করে থাকি।
খন্দকার আতিক, শিক্ষক, উইল্স লিট্ল ফ্লাওয়ার স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ঢাকা
[পরবর্তী দিনের লেখা]