৭. প্রশ্ন: টেরাকোটা কী?
উত্তর: প্রাচীনকাল থেকে আমাদের এই বাংলাদেশে মৃৎশিল্পের চর্চা হয়ে আসছে। প্রাচীন মৃৎশিল্পের মধ্যে অন্যতম হলো ‘টেরাকোটা’। টেরাকোটা একটি লাতিন শব্দ। ‘টেরা’ অর্থ মাটি আর কোটা অর্থ পোড়ানো। পোড়ামাটির তৈরি মানুষের ব্যবহারের সব রকমের জিনিস টেরাকোটা হিসেবে পরিচিত। নকশা করা মাটির ফলক বা জিনিস ইটের মতো পুড়িয়ে তৈরি করা হতো টেরাকোটা।
৮. প্রশ্ন: বাংলাদেশের কোথায় পোড়ামাটির প্রাচীন শিল্প দেখতে পাওয়া যায়?
উত্তর: হাঁড়ি, কলসি ছাড়াও আমাদের দেশে একসময় গড়ে উঠেছিল সুন্দর পোড়ামাটির ফলকের কাজ। এর অন্য নাম টেরাকোটা। নকশা করা মাটির ফলক ইটের মতো পুড়িয়ে তৈরি করা হতো এই শিল্প। ময়নামতির শালবন বিহার, বগুড়ার মহাস্থানগড়, পাহাড়পুর বৌদ্ধ স্তূপ, দিনাজপুরের কান্তজিউ মন্দির ও বাগেরহাটের ষাটগম্বুজ মসজিদে এই প্রাচীন শিল্প দেখতে পাওয়া যায়। নরসিংদীর উয়ারী-বটেশ্বরে পাওয়া গেছে নানা ধরনের সুন্দর মাটির পাত্র আর ফলক।
খন্দকার আতিক, শিক্ষক, উইল্স লিট্ল ফ্লাওয়ার স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ঢাকা