সংক্ষেপে জেনে রাখি

বায়ুদূষণ, মৃত্তিকাদূষণ, অ্যামোনিফিকেশন, ডি-নাইট্রিফিকেশন

বায়ুদূষণ

প্রাকৃতিক বা মনুষ্যসৃষ্ট প্রক্রিয়ায় উত্পন্ন বহিঃস্থ বস্তুর অংশ বা বায়ুর নিজ উপাদানের অতিরিক্ত অংশ বায়ু পরিবেশে উপস্থিত থেকে যখন মানুষ, প্রাণী ও উদ্ভিদের সুস্থ বৃদ্ধি, বিকাশ এবং বংশবিস্তার বা প্রাণপ্রবাহ বিঘ্নিত করে বা সম্পত্তির ক্ষতি করে, তখন তাকে বায়ুদূষণ বলে।

মৃত্তিকাদূষণ

মৃত্তিকা প্রাকৃতিক পরিবেশের অন্যতম উপাদান। মূলত মৃত্তিকায় খাদ্যশস্য উত্পাদিত হয়, বিল্ডিং ও ইমারত গড়ে ওঠে, বিভিন্ন প্রাকৃতিক সম্পদের অধিকারী এ মৃত্তিকা। শিল্প ও কৃষিতে ব্যবহৃত রাসায়নিক দ্রব্য ভূমিতে নিঃসরণের মাধ্যমে মৃত্তিকার গুণগত মানের যে পরিবর্তন হয়, তাকে মৃত্তিকাদূষণ বলে। বিভিন্ন উপায়ে এ মৃত্তিকা মানুষের কর্মকাণ্ড দ্বারা দূষিত হচ্ছে।

অ্যামোনিফিকেশন

উদ্ভিদকে খাদ্য হিসেবে তৃণভোজী প্রাণী এবং তৃণভোজী প্রাণীকে মাংসভোজী প্রাণী খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করে। উদ্ভিদ ও প্রাণী মারা যাওয়ার পর তা বিয়োজিত হয়। এ প্রক্রিয়ায় কতগুলো ক্ষুদ্র অণুজীব বিশেষভাবে বেসিলাস-জাতীয় ব্যাকটেরিয়া মৃতদেহের ওপর কাজ করে। এভাবে বিয়োজিত পদার্থ থেকে অ্যামোনিয়া তৈরি হয়। এ পুরো প্রক্রিয়াটি অ্যামোনিফিকেশন নামে পরিচিত। এ পর্যায়ে অ্যামোনিয়া ও অ্যামোনিয়া লবণ (NH+) উত্পন্ন হয়।

ডি-নাইট্রিফিকেশন

নাইট্রোজেন নাইট্রাইট ও নাইট্রেটে পরিণত হওয়ার পর কিছু ব্যাকটেরিয়া দ্বারা বিয়োজিত হয়ে নাইট্রাস অক্সাইডে (N2O) পরিণত হয়। পরে তা নাইট্রোজেন আকারে পুনরায় বায়ুতে ফিরে আসে। এভাবে মাটি ও পানিতে নাইট্রোজেন বিয়োজিত হয়ে পুনরায় বায়ুতে ফিরে যাওয়াকে ডি-নাইট্রিফিকেশন বলে। এতে পরিবেশে নাইট্রোজেনের ভারসাম্য রক্ষা হয়।