প্রিয় শিক্ষার্থী, আগামীকাল বুধবার তোমাদের ষাণ্মাসিক সামষ্টিক মূল্যায়ন–২০২৪ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। ইতিমধ্যে তোমাদের শিখনকালীন মূল্যায়ন সম্পন্ন হয়েছে। তোমরা নিশ্চয়ই অবগত আছো যে নতুন শিক্ষাক্রমের মূল্যায়নপদ্ধতি সম্পূর্ণ নতুন, যার সঙ্গে পুরোনো পরীক্ষা কিংবা মূল্যায়নপদ্ধতির কোনো মিল নেই।
নতুন শিক্ষাক্রমের মূল্যায়নপদ্ধতিতে থাকছে না আগের মতো সৃজনশীল প্রশ্ন ও বহুনির্বাচনি বা নৈর্ব্যক্তিক প্রশ্ন। নতুন শিক্ষাক্রমে প্রয়োজন হচ্ছে না কোনো ধরনের অতিরিক্ত নোট বা গাইড বই, ইংরেজি গ্রামার ও বাংলা ব্যাকরণ বইয়ের। তবে তোমরা চাইলে তোমাদের জ্ঞানের পরিধি বিকশিত করার জন্য যেকোনো ধরনের সহায়ক বই, গল্প, কবিতা, ছড়া কিংবা সাহিত্য, আধুনিক বিজ্ঞানের বই পড়তেই পারো
কী থাকছে মূল্যায়নপদ্ধতিতে? প্রশ্নের কাঠামো ও মানবণ্টন কেমন হবে? পরীক্ষার সময় কত হবে? তা নিয়ে বিভিন্ন কৌতূহলী প্রশ্ন তোমাদের মনে নিশ্চয়ই বারবার উঁকি দিচ্ছে। এগুলো নিয়েই আজকের সংক্ষিপ্ত আলোচনা।
মূল্যায়নপদ্ধতিতে আগে তোমাদের প্রশ্নপত্র দেওয়া হতো, এখন তোমাদের দেওয়া হবে ‘মূল্যায়ন নির্দেশিকা’।
‘মূল্যায়ন নির্দেশিকা’ অনুযায়ী বিষয় শিক্ষক তোমাদের লিখিত অংশ, একক কাজ, জোড়ায় কাজ বা দলীয় কাজ, প্রকল্পভিত্তিক কাজ, সমস্যা সমাধান, অ্যাসাইনমেন্ট, অনুসন্ধানমূলক কাজ, পরিকল্পনা প্রণয়ন ইত্যাদি অংশ বুঝিয়ে দেবেন।
তোমরা ‘শিক্ষার্থী নির্দেশিকা’ পড়ে বিষয় শিক্ষকের নির্দেশনামতো ‘লিখিত অংশ’ উত্তরপত্রে লিখবে এবং ‘সক্রিয় অংশগ্রহণমূলক’ অংশে নিজের পারদর্শিতা প্রদর্শন করবে।
তোমাদের শ্রেণির ‘বিষয়ভিত্তিক যোগ্যতা’ ও ‘অভিজ্ঞতা’র আলোকেই ‘মূল্যায়ন নির্দেশিকা’ প্রণয়ন করা হয়েছে। তাই তোমরা পাঠ্যবইয়ের শ্রেণি অভিজ্ঞতার একক কাজ, জোড়ার কাজ, অংশগ্রহণমূলক কাজ ও অনুশীলনমূলক কাজগুলো কয়েকবার অনুশীলন করে যেতে পারো।
মূল্যায়নের জন্য মোট নির্ধারিত সময় ৫ ঘণ্টা। সাধারণত লিখিত অংশের জন্য সময় থাকতে পারে ২ ঘন্টা। তবে এ ক্ষেত্রে বিষয় শিক্ষক মূল্যায়ন পরিচালনার জন্য শিক্ষক নির্দেশনা অনুযায়ী বিরতি ও সময় ব্যবস্থাপনা করবেন।
তোমরা অবশ্যই কলম, পেনসিল, ইরেজার, শাপনার, স্কেল, পাঠ্যবই, পুরোনো ক্যালেন্ডার (গণিত বিষয়ের জন্য) নিয়ে যাবে। এ ছাড়া আরও যেসব উপকরণ নিয়ে যেতে হবে, তা এই লেখার শেষ অংশে ছবি আকারে দেওয়া থাকবে।
কিছু কিছু উপকরণ প্রতিষ্ঠান থেকে সরবরাহ করা হবে। তবে তোমরা চাইলে ব্যক্তিগতভাবে রংপেনসিল ও সাইনপেন সঙ্গে রাখতে পারো।
বর্তমান মূল্যায়নপদ্ধতি শিক্ষার্থীদের পরীক্ষাভীতি সম্পূর্ণ দূর করে আনন্দপূর্ণ পরিবেশ তৈরি করবে বলে আমরা আশাবাদী।
মোহাম্মদ ইমাম হোসেন, মাস্টার ট্রেইনার ও সহকারী শিক্ষক, চাটিতলা উচ্চ বিদ্যালয়, নাঙ্গলকোট, কুমিল্লা