[পূর্ববর্তী লেখার পর]
নিচের বাক্যগুলো পড়ো। বাক্যগুলোতে সাধারণভাবে কী অর্থ প্রকাশ পাচ্ছে তার উল্লেখ করো।
১. আমি বাজারে যাচ্ছি।
(একটি সাধারণ বর্ণনা বোঝানো হচ্ছে।)
২. তুমি কোথায় যাচ্ছ?
(জানতে চাওয়া হচ্ছে।)
৩. তুমি বাজারে যাও।
(নির্দেশ বোঝানো হচ্ছে।)
৪. ওরে বাবা! কত বড় বাজার!
(অবাক হওয়ার অনুভূতি বোঝানো হচ্ছে।)
মানুষ তার কথা বা বক্তব্য প্রকাশ করে বাক্যের মধ্য দিয়ে। এসব বাক্যে নানারকম বক্তব্য প্রকাশিত হয়।
বক্তব্যের ধরন অনুযায়ী বাক্যকে চার ভাগে ভাগ করা যায়।
১. বিবৃতিবাচক বাক্য: সাধারণভাবে কোনো তথ্য বা বিবরণ প্রকাশ করা হয় যেসব বাক্যে, সেগুলোকে বিবৃতিবাচক বাক্য বলে। যেমন: মানুষ ও প্রাণী অমর নয়।
২. প্রশ্নবাচক বাক্য: যেসব বাক্যে কোনো কিছু জানতে চাওয়া হয় বা জিজ্ঞাসা থাকে, সেগুলোকে প্রশ্নবাচক বাক্য বলে। যেমন: সুখ কোথায় পাব?
৩. অনুজ্ঞাবাচক বাক্য: যেসব বাক্যে আদেশ, উপদেশ, অনুরোধ, প্রার্থনা ইত্যাদি প্রকাশিত হয়, সেগুলোকে অনুজ্ঞাবাচক বাক্য বলে। যেমন: আমাকে সুখ এনে দাও।
৪. আবেগবাচক বাক্য: যেসব বাক্যে দেখে বা শুনে অবাক হওয়ার বিশেষ অনুভূতি প্রকাশিত হয়, সেগুলোকে আবেগবাচক বাক্য বলে। যেমন: মোড়ল বাঁচবে তো!
প্রশ্ন: ‘সুখী মানুষ’ নাটকটি থেকে চার ধরনের বাক্য খুঁজে বের করো।
নমুনা উত্তর:
১. বিবৃতিবাচক বাক্য:
ক. তাহলে আমি হাউমাউ করে কাঁদতে লেগে যাব।
খ. তোমার মোড়ল একটা কঠিন লোক।
গ. মানুষ এবং প্রাণী অমর নয়।
ঘ. সুখী মানুষ নেই, সুখী মানুষের জামাও নেই।
ঙ. আমি একজন সুখী মানুষ।
২. প্রশ্নবাচক বাক্য:
ক. তাই বলে মোড়লের ব্যারাম ভালো হবে না কেন?
খ. ও কবিরাজ, নাড়ি কী বলছে?
গ. বাঘের চোখ আনতে হবে?
ঘ. হিমালয় পাহাড় তুলে আনব?
ঙ. সুখ কোথায় পাব?
৩.অনুজ্ঞাবাচক বাক্য:
ক. আমাকে বাঁচাও।
খ. আমি বাঁচব।
গ. জামা এনে দাও, হাজার টাকা বকশিশ দেবো।
ঘ. আমাকে সুখ এনে দাও।
ঙ. চোরকে তখন বলব, নিয়ে যাও, আমার যা কিছু আছে নিয়ে যাও।
৪. আবেগবাচক বাক্য:
ক. মোড়ল বাঁচবে তো!
খ. আহা রে, আমরা এখন কী করব!
গ. অ্যাঁ! তোমার কোনো দুঃখ নাই?
ঘ. হা হা করে পাগলের মতো হাসছ কেন ভাই!
ঙ. তুমি তাহলে সত্যিই সুখী মানুষ!
জাহেদ হোসেন, সিনিয়র শিক্ষক, বিয়াম মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ঢাকা
[পরবর্তী দিনের লেখা]