বিয়োজক, বৃষ্টি মাপার যন্ত্র, স্রোতজ বনভূমি, বাস্তুসংস্থান জীববৈচিত্র্য

বিয়োজক

পুকুর কিংবা হ্রদের পানিতে নিমজ্জিত উদ্ভিদ ও প্রাণী যখন মারা যায় তখন প্রচুর ব্যাকটেরিয়া ও ছত্রাক তাদের আক্রমণ করে। এরা তাদের শরীরের জটিল সব বস্তুকে জৈব বস্তুতে পরিণত করে। এই ক্ষুদ্র অণুজীবগুলোকে বিয়োজক বলে। এসব বিয়োজক থেকে সবুজ উদ্ভিদ পুষ্টি সংগ্রহ করে। আর এভাবেই একটি বাস্তুব্যরীতির ভারসাম্য বজায় থাকে।

বৃষ্টি মাপার যন্ত্র

বৃষ্টির পানি পরিমাপ করার যন্ত্রকে বৃষ্টি মাপার যন্ত্র বলা হয়। এর ইংরেজি নাম ‘রেইন গজ’। সর্বপ্রথম বিজ্ঞানী সাইমন বৃষ্টি মাপার ক্ষেত্রে এ যন্ত্র ব্যবহার করেন বলে একে সাইমনের বৃষ্টি মাপার যন্ত্রও বলা হয়। এটি একটি ৫১ সেন্টিমিটার দীর্ঘ এবং ২১ সেন্টিমিটার ব্যাসের বিশেষ ধরনের দাগ কাটা কাচের বোতল বা জারবিশেষ।

স্রোতজ বনভূমি

বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সমুদ্র উপকূলবর্তী এলাকায় অবস্থিত এ বনাঞ্চলটি একটি স্রোতজ বনভূমি। এটি বাংলাদেশের বৃহত্তম ও অন্যতম গরান বৃক্ষের বনভূমি। এ বনভূমির প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো বনে নিয়মিত জোয়ার-ভাটার লবণাক্ত পানি প্রবেশ করে এবং বৃক্ষগুলো প্রতিনিয়ত জোয়ার-ভাটা দ্বারা প্রভাবিত হয় ।

বাস্তুসংস্থান জীববৈচিত্র্য

পৃথিবীতে বেঁচে থাকার জন্য কোনো নির্দিষ্ট অঞ্চলের জীবসম্প্রদায় ও জড় পরিবেশের মধ্যে সুপ্রতিষ্ঠিত আন্তঃসম্পর্ক হচ্ছে বাস্তুসংস্থান। কোথাও অনেক ধরনের,আবার কোথাও একটিমাত্র বাস্তুসংস্থান থাকতে পারে। সমুদ্র অথবা মরু এলাকায় জীববৈচিত্র্য কম। অন্যদিকে পার্বত্য এলাকায় যেখানে হ্রদ, বনভূমি ও তৃণভূমি রয়েছে, সে স্থানে জীববৈচিত্র্য অনেক বেশি শক্তিশালী হয়ে থাকে।