বিশেষ পরামর্শ
ভূগোল উভয় পত্রে সৃজনশীল প্রশ্ন থাকবে ৮টি, উত্তর করতে হবে ৩টির। আর ২৫টি বহুনির্বাচনি প্রশ্ন থেকে ১৫টি উত্তর দিতে হবে। পরীক্ষায় এ+ পাওয়া অনেকটা নির্ভর করে বহুনির্বাচনি প্রশ্নের ওপর। তাই পরীক্ষায় বহুনির্বাচনি অংশে অবশ্যই ভালো করতে হবে।
পরীক্ষায় জ্ঞান ও অনুধাবনমূলক প্রশ্ন সরাসরি পাঠ্যবই থেকে কমন পাওয়া যায়। সাধারণত এ অংশে বিভিন্ন সংজ্ঞা, কী, কাকে বলে, বলতে কী বোঝো, ব্যাখ্যা করো—ইত্যাদি ধরনের প্রশ্ন হয়ে থাকে। এ ক্ষেত্রে পাঠ্যবই ভালো করে পড়তে হবে।
প্রয়োগ ও উচ্চতর দক্ষতার প্রশ্ন দুটি দেওয়া হয় উদ্দীপকের আলোকে। আর এ উদ্দীপক পাঠ্যপুস্তকের আলোকেই তৈরি হয়। তবে পাঠ্যপুস্তকের সমস্যাটি হুবহু উদ্ধৃত হয় না। মৌলিক ধারণা ঠিক রেখে বা গুণগত পরিবর্তন না করে শুধু কাঠামোগত পরিবর্তন করে উদ্দীপক তৈরি করা হয়। এর উদ্দীপক বিভিন্ন চিত্র, মানচিত্র, গ্রাফ, তথ্য, বিবৃতি ইত্যাদি যেকোনো বিষয়ের আলোকে তৈরি করা হয়। উদ্দীপকের ‘গ’ ও ‘ঘ’ নম্বর প্রশ্নের উত্তর করার আগে উদ্দীপকটি ভালো করে পড়ে নিতে হবে। এ প্রশ্নের উত্তর লেখার ক্ষেত্রে পরীক্ষার্থীদের ভিন্ন উত্তর হতে পারে, তাতে কোনো সমস্যা নেই। তুমি যে মতামত দেবে, তার ওপর সঠিক যুক্তি ও প্রমাণ দেখাতে পারলেই উত্তর সঠিক হবে।
সময় ভাগ করে পড়ার অভ্যাস করো। সারা দিনের মধ্যে যে সময়টা ভূগোলের জন্য দেবে, সে সময়ে মন দিয়ে খুঁটিয়ে ভূগোল পাঠ্যবই পড়বে। আগের বছরের প্রশ্ন দেখো। টেস্ট পেপার সলভ করে ফেলো। দেখবে আত্মবিশ্বাস বাড়বে। অ্যাসাইনমেন্টকে গুরুত্ব দাও। সংক্ষিপ্ত সিলেবাস অনুযায়ী বোর্ড থেকে তোমাদের যে অ্যাসাইনমেন্টগুলো দিয়েছে, সেগুলোকে বেশি গুরুত্ব দাও। মনোযোগসহকারে বারবার সেগুলো অনুশীলন করো। দেখবে কঠিন বিষয়ও সহজ মনে হবে।
ভূগোলে ছবি আঁকার প্রতি গুরুত্ব দিতে হবে। প্রশ্নে ছবির কথা বলা না হলেও তোমাকে বুদ্ধি করে ছবিটা আঁকতে হবে। উদ্দীপকে যদি চিত্র বা গ্রাফ দেওয়া থাকে, তাহলে উত্তর লেখার সময় তুমিও চিত্র বা গ্রাফ ব্যবহার করবে। এতে তোমার নম্বর বাড়বে। চিত্র আঁকার সময় অবশ্যই পেনসিল ব্যবহার করবে। মানচিত্র পয়েন্টিং অভ্যাস করো। ভূগোলে বেশি নম্বর পাওয়ার জন্য তোমরা বাসায় মানচিত্র পয়েন্টিং অভ্যাস করো।
মো. শাকিরুল ইসলাম, প্রভাষক, ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ঢাকা