[পূর্ববর্তী লেখার পর]
যতিচিহ্ন: কথা বলা বা লেখার সময়ে আমরা নিয়ম মেনে কম-বেশি থামি। এই থামা বোঝাতে যেসব চিহ্ন ব্যবহৃত হয়, সেগুলোকে যতিচিহ্ন বলে। তা ছাড়া বক্তব্যকে স্পষ্ট করতেও যতিচিহ্ন ব্যবহৃত হয়ে থাকে। যেমন: দাঁড়ি (।), কমা (,), সেমিকোলন (;), প্রশ্নচিহ্ন (?), বিস্ময়চিহ্ন (!) ইত্যাদি।
কোন যতিচিহ্নের কী কাজ।
১. দাঁড়ি (।): দাঁড়ি বাক্যের শেষ বা সমাপ্তি বোঝায়। যেমন: তারা ক্রিকেট খেলছে।
২. কমা (,): সামান্য থামা বোঝাতে কমা ব্যবহার করা হয়। যেমন: জ্যৈষ্ঠ মাসে আম, জাম, কাঁঠাল পাকে।
৩. সেমিকোলন (;): পরস্পর সম্পর্ক আছে এমন দুটি বাক্যের মাঝখানে সেমিকোলনের ব্যবহার হয়। যেমন: বিকেল হয়েছে; চলো বেড়াতে যাই।
৪. প্রশ্নচিহ্ন (?): কোনো কিছু জিজ্ঞাসা করার ক্ষেত্রে প্রশ্নচিহ্ন বসে। যেমন: সে কখন এসেছে?
৫. বিস্ময়চিহ্ন (!): বিভিন্ন আবেগ শব্দ ও আবেগবাচক বাক্যের শেষে বিস্ময়চিহ্ন বসে। যেমন: বাহ! সত্যিই তুমি ভালো খেলেছ!
৬. হাইফেন (-): একজোড়া শব্দের মাঝখানে হাইফেন বসে। যেমন: ভালো-মন্দ নিয়েই মানুষের জীবন।
৭. ড্যাশ (—): এক বাক্যের কিছু কথা পরের বাক্যে বলা হলে দুই বাক্যের মাঝে ড্যাশ বসে। যেমন: তিনিই ভালো রাজা—যিনি প্রজাদের কথা সব সময়ে ভাবেন।
৮. কোলন (:): উদাহরণ দেওয়ার আগে কোলন বসে। যেমন: যোগাযোগের দুটি রূপ: ভাষিক যোগাযোগ ও অভাষিক যোগাযোগ।
৯. উদ্ধৃতি চিহ্ন (‘ ’): কারও কথা সরাসরি উল্লেখ করলে উদ্ধৃতি চিহ্ন বসে। যেমন: শিক্ষক বললেন, ‘পৃথিবী গোলাকার’।
জাহেদ হোসেন, সিনিয়র শিক্ষক, বিয়াম মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ঢাকা
[পরবর্তী দিনের লেখা]