প্রশ্নোত্তর (১৯-২১) : অধ্যায় ৩ | বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় - পঞ্চম শ্রেণি

পঞ্চম শ্রেণির পড়াশোনা

অধ্যায় ৩

১৯. প্রশ্ন: লালবাগ কেল্লা কত সালে এবং কোথায় নির্মাণ করা হয়? এ নিদর্শনটি সম্পর্কে চারটি বাক্য লেখো।

উত্তর: ১৬৭৮ সালে লালবাগ কেল্লা নির্মাণ করা হয়। ঢাকার দক্ষিণ-পশ্চিমে বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে এই দুর্গ অবস্থিত। আওরঙ্গজেবের পুত্র শাহজাদা মোহাম্মদ আযম শাহ দুর্গটির নির্মাণকাজ শুরু করলেও শেষ করতে পারেননি। দুর্গটি সম্পূর্ণ ইটের তৈরি। দুর্গের মাঝখানে খোলা জায়গায় মোগল শাসকেরা তাঁবু টাঙিয়ে বসবাস করতেন। দুর্গের দক্ষিণে গোপন প্রবেশপথ এবং একটি তিন গম্বুজবিশিষ্ট মসজিদ রয়েছে। বর্তমানে এটি জাদুঘর হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।

২০. প্রশ্ন: বাংলাদেশের দুটি প্রাচীন নিদর্শনের নাম লেখো।

উত্তর: বাংলাদেশে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক স্থান ও নিদর্শন আছে। এই নিদর্শনগুলো থেকে আমরা অতীতের সংস্কৃতি ও সভ্যতা সম্পর্কে জানতে পারি।

দুটি প্রাচীন নিদর্শনের নাম—

ক. মহাস্থানগড়

খ. উয়ারী-বটেশ্বর।

২১. প্রশ্ন: জমিদার শেখ এনায়েতউল্লাহ কোন প্রাসাদ তৈরি করেন? কোন শতকে এটি নির্মাণ করেন? এ প্রাসাদ সম্পর্কে যা জান লেখো।

উত্তর: মুঘল আমলে বরিশালের জামালপুর পরগনার জমিদার শেখ এনায়েতউল্লাহ ঢাকায় বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে আহসান মঞ্জিল প্রাসাদটি তৈরি করেন। আঠারো শতকে তাঁর পুত্র শেখ মতিউল্লাহ প্রাসাদটি ফরাসি বণিকদের কাছে বিক্রি করে দেন।

১৮৩০ সালে খাজা আলিমুল্লাহ ফরাসিদের কাছ থেকে প্রাসাদটি ক্রয় করে আবার প্রাসাদে পরিণত করেন।

এই প্রাসাদের উত্তর ও দক্ষিণে রয়েছে লম্বা বারান্দা। এ ছাড়া রয়েছে জলসা ঘর, দরবার হল ও রংমহল। আহসান মঞ্জিল বাংলাদেশের একটি উল্লেখযোগ্য স্থাপত্য নিদর্শন। ১৯৮৫ সালে বাংলাদশ সরকার প্রাসাদটির তত্ত্বাবধানের দায়িত্ব নেওয়ার পর তার প্রাচীন ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনা হয়। বর্তমানে এটি জাদুঘর হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।

রাবেয়া সুলতানা, শিক্ষক, বিয়াম ল্যাবরেটরি স্কুল, ঢাকা