৫. প্রশ্ন: ‘শহিদ ছেলের দান’ হিসেবে আমরা কী পেয়েছি?
উত্তর: বাংলা ভাষা আমাদের মাতৃভাষা। এই ভাষাতে আমরা মাকে মা বলে ডাকতে শিখেছি। এই বাংলা ভাষাতেই আমাদের সকল চাওয়া আর সকল পাওয়া এবং স্বপ্ন-আশা বাস্তবায়িত হয়। অথচ এই ভাষার ওপর আঘাত হেনেছিল পশ্চিমা শাসকগোষ্ঠী। চাপিয়ে দিতে চেয়েছিল তাদের উর্দু ভাষা। কিন্তু বাংলা মায়ের দামাল ছেলেরা তা হতে দেয়নি। ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি বুকের রক্ত দিয়ে শহিদ হয়ে এ ভাষার মর্যাদা রক্ষা করেছে। একুশে ফেব্রুয়ারির সেই সব শহিদ ছেলের দান হিসেবে আমরা পেয়েছি আমাদের মায়ের ভাষায় কথা বলার অধিকার। পেয়েছি রাষ্ট্রভাষা হিসেবে বাংলা।
৬. প্রশ্ন: গ্রীষ্ম-বর্ষা-শীতের বাতাসে কিসের প্রতিধ্বনি ছড়ায়?
উত্তর: প্রতিধ্বনি বলতে আমরা বাতাসের ধাক্কায় ধ্বনির পুনরায় ফিরে আসাকে বুঝে থাকি। রূপে অপরূপা বাংলাদেশের প্রকৃতিতেও প্রতিনিয়ত চলছে প্রতিধ্বনির আনাগোনা। প্রকৃতির বিভিন্ন উপাদান বিভিন্নভাবে তাদের সৌন্দর্য বিতরণ করে থাকে। পাহাড়ও তার সুরের সৌন্দর্য বিকশিত করে ঝরনার ছন্দে। কবির দৃষ্টিতে গ্রীষ্ম, বর্ষা ও শীত ঋতুর বাতাসে পাহাড়ের সেই সুর সৌন্দর্যের প্রতিধ্বনি ছড়ায়।
খন্দকার আতিক, শিক্ষক, উইল্স লিট্ল ফ্লাওয়ার স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ঢাকা