প্রিয় এইচএসসি পরীক্ষার্থী, আগামীকাল থেকে শুরু তোমাদের পরীক্ষা। এই পরীক্ষা তোমার কলেজের শ্রেণি উত্তরণ (বার্ষিক) পরীক্ষাগুলোর চেয়ে কঠিন কিছু নয়। হয়তো আয়োজন একটু ভিন্ন।
তোমরা পুনর্বিন্যাসকৃত সংক্ষিপ্ত সিলেবাস পেয়েছ এবং সে অনুযায়ী পরীক্ষার জন্য যথাযথ প্রস্তুতি গ্রহণ করেছ।
তাহলে চূড়ান্ত পরীক্ষা নিয়ে ভয় কেন? সাহসী ও উদ্যমী হও, পরীক্ষায় ভালো করবে নিশ্চয়।
তোমাদের জন্য থাকছে আমার কিছু পরামর্শ। দেখো তো এখানে আমার দেওয়া পয়েন্টগুলোর মধ্যে কোনোটাতে তোমার ঘাটতি আছে কিনা।
বাসায় সময় ধরে পড়া রিভিশন করবে।
রিভিশন মানে এই না, নতুন কোনো অধ্যায় অথবা নতুন কোনো টপিক পড়া। বরং সারা বছর যেগুলো পড়েছ সেগুলোতে আরেকবার চোখ বুলিয়ে নাও।
সময়মতো কিছু খাবে। ক্ষুধার্ত থেকে পড়াশোনা করলে শরীর খারাপ হতে পারে।
পর্যাপ্ত পানি পান করবে।
সতর্ক থাকবে যেনো মশা না কামড়ায়, এই সময়ে ডেঙ্গুর প্রকোপ বেড়েছে।
পড়ার মাঝে মাঝে বিশ্রাম নেবে।
বেশি রাত জেগে পড়বে না।
আগে আগে ঘুমিয়ে পড়ে, ভোরবেলা ওঠে পড়তে বসতে চেষ্টা করবে।
মোবাইল, ল্যাপটপ অথবা যেকোনো ডিজিটাল ডিভাইসে সময় না দেওয়াই ভালো।
মনে রেখো, পরীক্ষাটা কিন্তু খাতায় লিখে দিতে হবে। সে জন্য পরীক্ষায় আসতে পারে এমন সম্ভাব্য প্রশ্নগুলো লেখার অনুশীলন করো। তাতে করে ফল ভালো হবে।
আর তোমার কাছে যে প্রশ্নটা সহজ মনে হবে, তার উত্তর আগে লিখবে।
কোনো উত্তরই প্রয়োজনের তুলনায় বেশি লিখতে যাবে না।
সৃজনশীল প্রশ্ন—ক, খ, গ ও ঘ এই ধারাবাহিকতা রেখে উত্তর লিখলে লেখার পরিমাণ এবং সময় মেলানো হয়তো তোমার পক্ষে সহজ হবে এবং দেখতেও সুন্দর লাগবে।। তবে ক, খ, গ ও ঘ আগে পরে লিখলেও সমস্যা নেই।
সময়মতো পরীক্ষার কেন্দ্রে উপস্থিত থাকবে।
জেনে–বুঝে উত্তর লিখবে।
পরীক্ষার খাতায় অযথা কাটাকাটি করবে না, উত্তরের বাইরে অন্য কিছু লিখবে না।
যিনি খাতা দেখবেন, তিনি যেনো তোমার খাতা দেখে সন্তুষ্ট হয় এমনভাবে খাতায় উত্তর লিখবে।
আর লেখা শেষ হলে পরীক্ষার খাতা অবশ্যই রিভিশন করবে। এতে উত্তরে কোনো ভুল থাকলে তা ধরা পড়বে।
তোমাদের সবার জন্য শুভকামনা রইল। ভালো ভাবে পরীক্ষা দাও।