অনুপাত কত রকমের হতে পারে এবং সেগুলোর কাজ কি | ষষ্ঠ শ্রেণির গণিত - পাঠ ২৪

গত পর্বে আমরা দেখেছি অনুপাত আসলে একটা ভগ্নাংশ। একটা পূর্ব রাশি, একটা উত্তর রাশি এবং এর মাঝখানে অনুপাত চিহ্ন (:) দিয়ে এটাকে প্রকাশ করা হয়।

আমার কাছে যদি একটি লাঠি থাকে, এবং তার একটা অংশকে লাল এবং আরেকটা অংশকে সবুজ রঙ করলে সেখান থেকে আমরা একটা লাল এবং সবুজের অনুপাত বের করতে পারি; লালের অংশ কতটুকু এবং সবুজের অংশ কতটুকু। এবং এভাবেই গাণিতিক সমস্যা সমাধানের জন্য আমরা অনুপাতকে ব্যবহার করতে পারি।

এই পর্বের ভিডিওতে আমরা দেখব অনুপাত কত রকমের হতে পারে এবং সেগুলোর কাজ কি। চলো শুরু করা যাক...

চলো অনুপাত সম্পর্কিত কতগুলো নিয়ম ও সংজ্ঞা জেনে নেই:

পূর্ব রাশি < উত্তর রাশি → লঘু অনুপাত (যেমন ২:৩)

পূর্ব রাশি > উত্তর রাশি → গুরু অনুপাত (যেমন ৩:২)

পূর্ব রাশি = উত্তর রাশি → একক অনুপাত (যেমন ২:২)

সরল অনুপাত: যে অনুপাতে দুইটি রাশি (পূর্ব ও উত্তর রাশি) থাকে তাকে সরল অনুপাত।

ব্যস্ত অনুপাত: যদি আমরা পূর্ব রাশি এবং উত্তর রাশির স্থান পরিবর্তন করে দেই তাহলে তা হবে একে অন্যের ব্যস্ত অনুপাত। যেমন ২:৩ এর ব্যস্ত অনুপাত ৩:২

মিশ্র অনুপাত: যদি একাধিক অনুপাতের পূর্ব রাশির গুণফল মিলে একটি নতুন পূর্ব রাশি, ও তাদের উত্তর রাশির গুণফল মিলে একটি নতুন উত্তর রাশি হয়, তবে সেই নতুন পূর্ব রাশি এবং উত্তর রাশি মিলে যে অনুপাত গঠিত হয় তাকে মিশ্র অনুপাত বলা হয়। যেমন ২:৩ এবং ৫:৮ অনুপাত দুইটির মিশ্র অনুপাত হবে ১০:২৪ বা ৫:১২।

অনুপাত ব্যবহার করে আমরা বিভিন্ন রকমের সমস্যার সমাধান করতে পারব। এই পর্বের ভিডিওতে আমরা সেরকম কয়েকটা সমস্যার সমাধান করে বাস্তব জীবনে অনুপাতের ব্যবহার দেখব।