নাম বিশেষণ ও ক্রিয়া - বাংলা ২য় পত্র | এইচএসসি ২০২৪

পুনবি৴ন্যাসকৃত সিলেবাস অনুসারে

প্রশ্ন: নাম বিশেষণ কাকে বলে। নাম বিশেষণের শ্রেণিবিভাগ উদাহরণসহ উল্লেখ করো।

উত্তর: যে বিশেষণ বিশেষ্য বা সর্বনামকে বিশেষিত করে, তাকে নাম বিশেষণ বলে। যেমন: সে মেধাবী ছাত্র, নীল আকাশের নিচে পথ চলেছি একা।

নাম বিশেষণকে নানা শ্রেণিতে ভাগ করা যায়। যেমন:

ক. রূপবাচক: নীল আকাশ, সবুজ মাঠ।

খ. গুণবাচক: চৌকস লোক, ঠান্ডা হাওয়া।

গ. অবস্থাবাচক: তাজা মাছ, রোগা ছেলে।

ঘ. সংখ্যাবাচক: হাজার লোক, পাঁচ দিন।

ঙ. ক্রমবাচক: প্রথম কন্যা, একাদশ শ্রেণি।

চ. পরিমাণবাচক: ৫ শতাংশ জমি, ১ কেজি চাল।

ছ. অংশবাচক: অর্ধেক সম্পত্তি, সিকি পথ।

জ. উপাদানবাচক: পাথুরে মূর্তি, বেলে মাটি।

ঝ. প্রশ্নবাচক: কত দূর পথ? কেমন অবস্থা?

ঞ. নির্দিষ্টতা জ্ঞাপক: এই মেয়ে, ১৬ ডিসেম্বর।

প্রশ্ন: ক্রিয়া বলতে কী বোঝো? অর্থ প্রকাশের  দিক থেকে ক্রিয়া কত প্রকার ও কী কী? উদাহরণ দাও।

উত্তর: যে শব্দশ্রেণি দ্বারা কোনো কিছু করা, থাকা, খাওয়া, যাওয়া প্রভৃতি কাজ করা বোঝায়, তাকে ক্রিয়া বলে। যেমন শিরিন হাসছে, সোহেল ছবি আঁকছে।

অর্থ প্রকাশের দিক থেকে ক্রিয়া দুই প্রকার। 

যথা: ক. অস্তিবাচক খ. নেতিবাচক।

ক. অস্তিবাচক: যে ক্রিয়া অস্তিবাচক বা হ্যাঁ–বাচক অর্থ প্রকাশ করে, তাকে অস্তিবাচক ক্রিয়া বলে। যেমন শামিমা কাঁদছে।

খ. নেতিবাচক ক্রিয়া: যে ক্রিয়া দ্বারা নেতিবাচক বা না-বোধক অর্থ প্রকাশ করা হয়, তাকে নেতিবাচক বা না-বোধক ক্রিয়া বলে। যেমন: রবি কলেজে যায়নি।

মোস্তাফিজুর রহমান, শিক্ষক, বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ পাবলিক কলেজ, ঢাকা