পরস্পর সম্পর্কযুক্ত কোনো ভৌগোলিক উপাত্তকে রেখার সাহায্যে চিত্ররূপ প্রদান করাকে ভূগোলের রেখাচিত্র বা ইংরেজিতে জিওগ্রাফিক গ্রাফ বলে। রেখাচিত্র শুধু ভূগোলের ক্ষেত্রেই নয়, অন্যান্য অনেক ক্ষেত্রেই ব্যবহার করা হয়। আবহাওয়া ও জলবায়ুর বিভিন্ন উপাত্ত যেমন বায়ুর তাপ, চাপ, বৃষ্টিপাত ইত্যাদি এবং কৃষিপণ্যের উত্পাদন, খনিজ উত্তোলন, আমদানি-রপ্তানি প্রভৃতি রেখাচিত্র পদ্ধতিতে প্রদর্শন করা যায়।
সমুদ্র তলদেশের বৈচিত্র্যপূর্ণ ভূমিরূপের মধ্যে শৈলশিরা অন্যতম। সমুদ্র তলদেশে বিদ্যমান আগ্নেয়গিরির উদ্গিরণের ফলে বেরিয়ে আসা লাভা সঞ্চিত হয়ে সমুদ্রগর্ভে শৈল বা পাহাড়ের ন্যায় ভূমিরূপ গঠন করে এগুলোই নিমজ্জিত শৈলশিরা। মধ্য আটলান্টিক শৈলশিরা নিমজ্জিত শৈলশিরার প্রকৃষ্ট উদাহরণ।
বঙ্গোপসাগরের তলদেশের অন্যতম গভীর সমুদ্রের খাদ হলো ‘সোয়াচ অব নো গ্রাউন্ড’। এটি বঙ্গোপসাগরের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ভূপ্রাকৃতিক ও ভূমিরূপ বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন খাদ। এটি অত্যন্ত খাড়া ঢালবিশিষ্ট একটি সামুদ্রিক গিরিখাদ, যা উত্তর-পূর্ব দিক থেকে দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে প্রশস্ত। এই গভীর খাদটি গঙ্গা-ব্রহ্মপুত্র বদ্বীপ থেকে মাত্র ২৪ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থিত।
সাধারণত আবহাওয়া-জলবায়ুর উপাদানগুলোর মৌলিক অবস্থাগুলোর পরিবর্তন বা হ্রাস-বৃদ্ধির কারণে কোনো নির্দিষ্ট অঞ্চলের দীর্ঘ সময়ের জলবায়ুর মধ্যে যে পরিবর্তন দেখা যায়, তাকেই জলবায়ুর পরিবর্তনশীলতা বলে। একে ইংরেজিতে বলে Climate Variability। মনে রেখ Climate Variability এবং Climate Change দুইটি ভিন্ন বিষয়, যা অনেকে একই মনে করে।