সপ্তম শ্রেণির পড়াশোনা
একদিন মাকে কালির দোয়াত এগিয়ে দেওয়ার সময় হোঁচট খেয়ে সে পড়ে যায়। এতে দোয়াত ভেঙে টুকরা টুকরা হয়ে যায়। কালি ছড়িয়ে কার্পেটসহ সব জিনিস নষ্ট হয়ে যায়। এ জন্য তাকে মায়ের কাছে বকা শুনতে হয়। বকা খেয়ে সে মনকে শান্ত করার জন্য নির্জন ছাদে আসে। হঠাৎ বাতাসের শো শো আওয়াজ শুনে সে পেছনে তাকিয়ে দেখে, তাদের ছাদে একটা মহাকাশযান ভাসছে। একটু পরে নীল আলোর মধ্যে একটা আবছা ছায়া কিলবিল করতে থাকে। সেখান থেকে শুকনা কাঠির মতো একজন মানুষ
বেরিয়ে এসে তার সাথে চাটগাঁয়ের আঞ্চলিক ভাষায় কথা বলে। তাদের যান ক্র্যাব নেবুলার একটা ফুটো সারানোর জন্য তার কাছে সাহায্য চায়। রঞ্জুর সাথে থাকা চুইংগামটা সে চিবিয়ে দিলে তা দিয়ে ফুটোটা বন্ধ করা হয়। খুশি হয়ে মানুষটা ক্র্যাব নেবুলার একটা ত্রিমাত্রিক প্রতিচ্ছবি রঞ্জুকে উপহার দিয়ে চলে যায়। সিড়ির আলোতে রঞ্জু বুঝতে পারে, পাওয়া উপহারটা হচ্ছে একটা আমড়া। শিউলি জোরাজুরি করলে এক পর্যায়ে সে আমড়াটি তাকে দেয়। তারপর স্বীকার করে, সবাই যেখানে পায়, আমড়াটি সে সেখানেই পেয়েছে।
জাহেদ হোসেন, সিনিয়র শিক্ষক, বিয়াম মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ঢাকা