প্রিয় এইচএসসি পরীক্ষার্থী, তোমাদের পরীক্ষা সামনে রেখে চূড়ান্ত প্রস্তুতির জন্য আজকে ব্যবসায় সংগঠন ও ব্যবস্থাপনা ২য় পত্র বিষয়ের বহুনির্বাচনি এবং সৃজনশীল প্রশ্ন লেখার পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করব।
বহুনির্বাচনি প্রশ্নের জন্য পুনর্বিন্যাসকৃত সিলেবাসের সব কটি পাঠই গুরুত্বপূর্ণ। তাই পাঠগুলো মনোযোগ দিয়ে পড়বে, বারবার রিভিশন দেবে।
অভিজ্ঞতার আলোকে দেখা গেছে যে বেশ কিছু পাঠ রয়েছে, যেখান থেকে বহুনির্বাচনি প্রশ্ন বেশি আসে। সেগুলো হলো—
১ম অধ্যায় থেকে ব্যবস্থাপনার উৎপত্তি ও ক্রমবিকাশ, ব্যবস্থাপনা চক্র, ব্যবস্থাপনার স্তর,ব্যবস্থাপনার সর্বজনীনতা ইত্যাদি
২য় অধ্যায় থেকে ব্যবস্থাপনার ১৪টি নীতি, টেলর ও হেনরি ফেয়লের অবদান, ব্যবস্থাপনা ও প্রশাসনের পার্থক্য
৩য় অধ্যায় (আংশিক) থেকে পরিকল্পনার বৈশিষ্ট্য, লক্ষ্য, প্রণয়নের ধাপ, প্রকারভেদ
৪র্থ অধ্যায় থেকে সংগঠনের ধারণা, প্রকারভেদ, বিভিন্ন সংগঠনের বৈশিষ্ট্য
৫ম অধ্যায় থেকে কর্মী সংগ্রহ, নির্বাচন ও প্রশিক্ষণের পদ্ধতিসমূহ
৬ষ্ঠ অধ্যায় থেকে নেতৃত্বের প্রকারভেদ, বৈশিষ্ট্য, নেতার গুণাবলি
১০ম অধ্যায় (আংশিক) থেকে নিয়ন্ত্রণের ধারণা, গুরুত্ব ও পদক্ষেপসমূহ
১১টি সৃজনশীল প্রশ্ন থাকবে, ৭টির উত্তর দিতে হবে। প্রতিটি উদ্দীপকের আলোকে ক, খ, গ ও ঘ শিরোনামে ৪টি প্রশ্ন থাকে। যেমন—জ্ঞানমূলক, অনুধাবনমূলক, প্রয়োগ ও উচ্চতর দক্ষতামূলক। জ্ঞান ও অনুধাবনমূলক প্রশ্নের উত্তর সরাসরি বই থেকে লিখতে হবে। আর প্রয়োগ ও উচ্চতর দক্ষতামূলক প্রশ্ন হলো উদ্দীপকনির্ভর। এ দুটি প্রশ্ন উদ্দীপক ও পাঠ্যবইয়ের সংশ্লিষ্ট বিষয়ের সঙ্গে সম্পর্কিত করে উত্তর লিখবে।
মনে রাখতে হবে, সৃজনশীল প্রশ্নের ক্ষেত্রে চিন্তা করবে বেশি, কিন্তু লিখবে কম। উত্তরে বেশি না লিখে মানসম্মত লেখা জরুরি। অল্প কথার মধ্যে উত্তর চলে এলে পুরো নম্বর পাওয়া যায়।
উত্তরের প্রথম ১/২ লাইনের মধ্যে যেন প্রশ্নের মূল জবাবের ইঙ্গিত বা সারাংশ পাওয়া যায়। যেমন—প্রয়োগের প্রশ্ন যদি হয় ‘উদ্দীপকে জনাব করিম কোন ধরনের অংশীদার? ব্যাখ্যা করো,’ উত্তর শুরু করবে এভাবে—‘জনাব করিম একজন সাধারণ অংশীদার। কারণ...।’
এতে পরীক্ষার্থী সম্পর্কে পরীক্ষকের ধারণা ইতিবাচক হয়।