এসএমএস পাওয়ার সর্বোচ্চ ৫ দিনের মধ্যে ভর্তি নিশ্চায়ন না করলে শিক্ষার্থী আর কোনো মেডিকেল কলেজে ভর্তি হতে পারবেন না।
২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে এমবিবিএস প্রোগ্রামে সরকারি ও বেসরকারি মেডিকেল কলেজে ভর্তি পরীক্ষা হয়েছে গত ৯ ফেব্রুয়ারি। ইতিমধ্যে সরকারি মেডিকেল কলেজগুলোর প্রথম মাইগ্রেশনের তালিকা প্রকাশিত হয়েছে, যেখানে ৬৩ জন প্রথম মাইগ্রেশনে মনোনীত হয়েছেন।
অন্যদিকে বেসরকারি মেডিকেল কলেজ বা প্রাইভেট মেডিকেল কলেজে ভর্তির জন্য অনলাইনে আবেদন শুরু হয়েছে ২২ ফেব্রুয়ারি, যা চলবে ৯ মার্চ পর্যন্ত।
অনলাইনে প্রাইভেট মেডিকেলে ভর্তির জন্য একজন শিক্ষার্থী দুটি ভিন্ন সুবিধার যেকোনো একটিতে আবেদন করতে পারবেন। একটি হচ্ছে সেলফ ফান্ডিং বা নিজস্ব খরচে ভর্তি এবং পড়াশোনার সুবিধা। আরেকটি হচ্ছে অসচ্ছল-মেধাবী কোটায় ভর্তির সুবিধা, যেখানে শিক্ষার্থীকে সুনির্দিষ্ট মানদণ্ড অনুসারে অসচ্ছল-মেধাবীর প্রমাণ দাখিল করতে হবে।
দেশে বর্তমানে সরকারি মেডিকেল কলেজ আছে ৩৭টি, আর প্রাইভেট মেডিকেল কলেজ ৬৭টি। সরকারি মেডিকেল কলেজে মোট আসন ৫ হাজার ৩৮০টি, অন্যদিকে প্রাইভেট মেডিকেল কলেজে আছে ৬ হাজার ২৯৫টি আসন। সরকারি ও প্রাইভেট মেডিকেল কলেজ মিলিয়ে মোট ১১ হাজার ৬৭৫টি আসনের বিপরীতে ৯ ফেব্রুয়ারির পরীক্ষায় পাস করেছেন ৪৯ হাজার ৯২৩ জন শিক্ষার্থী। ফলে প্রতি একটি আসনের বিপরীতে শিক্ষার্থী রয়েছেন চারজনের বেশি।
অনলাইনে আবেদনের শেষ তারিখ: ৯ মার্চ ২০২৪, রাত ১২টা
আবেদনের ফি জমাদানের শেষ তারিখ: ১০ মার্চ ২০২৪, রাত ১২টা
প্রাথমিক নির্বাচনের এসএমএস প্রদানের তারিখ: ১৪ মার্চ ২০২৪
প্রাথমিক নিশ্চায়নের শেষ তারিখ: ১৯ মার্চ ২০২৪
দ্বিতীয় নির্বাচনের এসএমএস প্রদানের তারিখ: ২৪ মার্চ ২০২৪
দ্বিতীয় নিশ্চায়নের শেষ তারিখ: ২৯ মার্চ ২০২৪
ওয়েবসাইটে তালিকা প্রকাশ: ২ এপ্রিল ২০২৪
ভর্তি শুরুর তারিখ: ৩ এপ্রিল ২০২৪
ভর্তির শেষ তারিখ: ১৮ এপ্রিল ২০২৪
টেলিটকের মাধ্যমে অনলাইনে আবেদনের জন্য ভিজিট করুন dgme.teletalk.com.bd অথবা dgme.gov.bd ওয়েবসাইটে।
প্রাইভেট মেডিকেলে ভর্তিতে অনলাইনে আবেদনের সময় ছেলেদের জন্য ৬১টি ও মেয়েদের জন্য ৬৭টি মেডিকেল কলেজের পছন্দক্রম উল্লেখ করতে হবে, যা থেকে স্বয়ংক্রিয় সফটওয়্যারের মাধ্যমে শিক্ষার্থীর জন্য যোগ্য মেডিকেল কলেজ নির্ধারিত হবে।
অনলাইনে ভর্তি ফি হিসেবে ৯০০ টাকা টেলিটক প্রিপেইড নম্বর থেকে জমা দিতে হবে। নির্ধারিত সময়ের পর প্রার্থীর মেধাক্রম অনুযায়ী কোন মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন, তা এসএমএসের মাধ্যমে জানিয়ে দেওয়া হবে। সর্বোচ্চ ৫ দিনের মধ্যে নির্বাচিত প্রার্থীকে টেলিটক প্রিপেইড নম্বর থেকে ১০০ টাকা প্রদান করে নিশ্চিত করতে হবে তিনি যে কলেজের জন্য নির্বাচিত হয়েছেন, সেই কলেজে এবং পরবর্তী সময় মাইগ্রেশনের সময় তাঁর অধিকতর পছন্দের কলেজের জন্য নির্বাচিত হলে সেই কলেজে ভর্তি হতে সম্মত আছেন। যদি তিনি তাঁর বরাদ্দকৃত আসনটি নিশ্চিত না করেন, তাহলে বরাদ্দকৃত আসনটি খালি বলে ধরে নেওয়া হবে এবং ভর্তি নিশ্চায়ন না করায় তাঁকে পরবর্তী সময় বেসরকারি অন্য কোনো মেডিকেল কলেজে ভর্তির জন্য বিবেচনা করা হবে না।