সেশন–২
৪. অন্য কোনো বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদের স্বত্বাধিকারী যদি নিজের ট্রেডমার্কের সঙ্গে নতুন ট্রেডমার্কের মিল খুঁজে পান, তাহলে তিনি নিজের আপত্তি জানাতে পারেন। এ জন্য অধিদপ্তরের ওয়েবসাইট থেকে আবেদন ফরম পূরণ করে তাঁকে জমা দিতে হয়। এ সময় তিনি যুক্তি প্রদান করেন, কেন নতুন ট্রেডমার্কটি গ্রহণযোগ্য হবে না। আবার যিনি ট্রেডমার্কের জন্য আবেদন করেছেন, তিনি নিজের ট্রেডমার্কের পক্ষে যুক্তি প্রদান করেন। এরপর অধিদপ্তর দুই পক্ষের সব যুক্তি বিবেচনা করে এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেন।
৫. সবশেষে যদি অধিদপ্তর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয় যে আবেদনকারীকে এই ট্রেডমার্ক প্রদান করা হবে, তাহলে ট্রেডমার্কের নিবন্ধন সম্পন্ন হয়। নিবন্ধিত হওয়ার প্রমাণপত্র হিসেবে একটি ট্রেডমার্ক সনদ ওই স্বত্বাধিকারীর নামে প্রদান করা হয়।
আমরা এই শিখন অভিজ্ঞতার একদম শেষে একটি বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদকে যথাযথভাবে বাণিজ্যিক ব্যবহারের উপযোগী করতে যাচ্ছি, তা–ই না? এবার একটি কাজ করি। সেই বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদের জন্য মনের কল্পনা থেকে ট্রেডমার্ক হিসেবে কোনো লোগো বা ছবি বা ডিজাইন এঁকে ফেলি।
আমাদের বুদ্ধিবৃত্তিক সম্পদের জন্য ট্রেডমার্কের আবেদন করার একটি নমুনা ফরম আমরা পূরণ করতে হবে। নমুনা ফরমে যেসব তথ্য দিতে হবে, যেমন মুঠোফোন নম্বর, ই-মেইল, এগুলো তোমার না থাকলে সেগুলো নিচের মতো কাল্পনিকভাবে দিয়ে দিতে পারো।
আবেদনকারীর নাম: সুমন শেখ
জাতীয়তা: বাংলাদেশি
ঠিকানা: ১০০/৭, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭
মুঠোফোন নম্বর: ০১০০০০০০০০১
ই-মেইল: example@example.com
প্রকাশ কুমার দাস, সহকারী অধ্যাপক, মোহাম্মদপুর প্রিপারেটরি স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ঢাকা