১৭. প্রশ্ন: সিপাহি বিদ্রোহ কবে হয়েছিল? কার নেতৃত্বে এ বিদ্রোহ শুরু হয়? এ বিদ্রোহের কারণ লেখো।
উত্তর: ১৮৫৭ সালে সিপাহি বিদ্রোহ হয়েছিল।
পশ্চিম বাংলার ব্যারাকপুরে মঙ্গল পাণ্ডের নেতৃত্বে এ বিদ্রোহ শুরু হয়ে সারা ভারতে ছড়িয়ে পড়ে।
সিপাহি বিদ্রোহের কারণ:
ক. সেনাবাহিনীতে সিপাহি পদে ভারতীয়দের সংখ্যা বেশি ছিল। সেখানে ৫০ হাজার ব্রিটিশ এবং ৩ লাখ ভারতীয় সিপাহি ছিল।
খ. ১৮৫৬ সালের পর ভারতের বাইরেও সৈন্যদের কাজ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।
গ. কামান ও বন্দুকের কার্তুজ পিচ্ছিল করার জন্য গরু ও শূকরের চর্বি ব্যবহারের গুজব নিয়ে ধর্মীয় অশান্তি তৈরি করা হয়েছিল।
ঘ. সৈন্যদের আন্দোলনকে সমর্থন জানানোর জন্য সাধারণ মানুষ প্রস্তুত ছিলেন। এই আন্দোলন দ্রুতই সৈন্যদের থেকে সাধারণ মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। ব্রিটিশ সরকার কঠোর হাতে এ বিদ্রোহ দমন করে। এ বিদ্রোহে প্রায় এক লাখ ভারতীয় মারা যায়।
১৮. প্রশ্ন: কোন শতকে নবজাগরণ ঘটে? নবজাগরণের ফলাফল লেখো। কারা নবজাগরণে অবদান রাখেন?
উত্তর: ব্রিটিশ শাসনকালে শিক্ষা ও যোগাযোগব্যবস্থার উন্নয়নের ফলে উনিশ শতকে বাংলায় নবজাগরণ ঘটে। এ সময় সামাজিক সংস্কারসহ শিক্ষা, সাহিত্য ও জ্ঞান-বিজ্ঞানের ব্যাপক প্রসার ঘটে।
বাংলায় নবজাগরণের জন্য যাঁরা অবদান রেখেছেন, তাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন—
ক. রাজা রামমোহন রায়
খ. ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর
গ. নবাব আবদুল লতিফ
ঘ. সৈয়দ আমীর আলী
ঙ. মাইকেল মধুসূদন দত্ত প্রমুখ।
তাঁদের হাত ধরেই উনিশ শতকে বাংলায় নবজাগরণ ঘটে। তাঁরা নিজেদের সমাজে বহুকাল ধরে প্রচলিত নানা কুসংস্কার, কুপ্রথা সম্পর্কে সচেতন হয়ে ওঠেন।
রাবেয়া সুলতানা, শিক্ষক, বিয়াম ল্যাবরেটরি স্কুল, ঢাকা