৩. প্রশ্ন: রাজা কেন মনে করলেন প্রতিজ্ঞা ভঙ্গের কারণেই তার এই দশা?
উত্তর: রাজপুত্র রাখাল বন্ধুর কাছে একদিন প্রতিজ্ঞা করেছিল, বড় হয়ে রাজা হলে বন্ধুকে মন্ত্রী বানাবে। কিন্তু রাজপুত্র রাজা হওয়ার পর সুখ-স্বাচ্ছন্দ্যে ভরা জীবনে তার প্রতিজ্ঞার কথা ভুলে যায়।
রাখাল বন্ধু শত চেষ্টা করেও গরিব হওয়ার কারণে বন্ধু রাজার দেখা পায় না। রক্ষীরা গরিব রাখালকে রাজপ্রসাদের ভিতরে ঢুকতে দেয় না। মনভরা কষ্ট নিয়ে সারা দিন প্রাসাদের দরজার সামনে দাঁড়িয়ে থাকে সে। দিন শেষে মনে কষ্ট নিয়ে দুঃখী রাখাল চলে যায়। এরপর হঠাৎ একদিন ভোরবেলা ঘুম থেকে জাগার পর রাজা দেখে যে তার সারা শরীরে সুচ গেঁথে আছে। তখন তিনি মনে করলেন, রাখাল বন্ধুর সাথে প্রতিজ্ঞা ভঙ্গের অপরাধেই তার এই দশা হয়েছে।
৪. প্রশ্ন: অচেনা লোকটি রাজার প্রাণ রক্ষার জন্য এগিয়ে না এলে কী হতো?
উত্তর: অচেনা লোকটি রাজার প্রাণ রক্ষার জন্য এগিয়ে না এলে হয়তো রাজা আর কখনো সুস্থ হয়ে উঠত না। রানি কাঞ্চনমালাকেও সারা জীবন দাসী হয়ে থাকতে হতো। অচেনা লোকটির মন্ত্রবলে রাজার শরীরের সব সুচ নকল রানির চোখেমুখে বিঁধে যায়। রাজা সুস্থ হয়ে ওঠেন। কাঞ্চনমালার দুঃখের দিনও শেষ হয়।
খন্দকার আতিক, শিক্ষক, উইল্স লিট্ল ফ্লাওয়ার স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ঢাকা