অধ্যায় ১০
প্রশ্ন: মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে গণতন্ত্রের বিজয় কীভাবে অর্জিত হয়েছিল?
উত্তর: বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ছিল দীর্ঘ সংগ্রামের ফসল। বিভিন্ন আন্দোলন ও সংগ্রামের পর ১৯৭০ সালের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এ নির্বাচনে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ বিজয়ী হয়। কিন্তু পশ্চিম পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী বঙ্গবন্ধুর হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করেনি। বরং তারা এদেশে গণহত্যা শুরু করে। তবে বাঙালিরা ভয় না পেয়ে প্রতিরোধ গড়ে তোলে। শুরু হয় মুক্তিযুদ্ধ। ৩০ লক্ষ শহিদের বুকের রক্তে আর অগণিত মানুষের ত্যাগের বিনিময়ে আমরা লাভ করি বিজয়। এ বিজয় ছিল বাংলাদেশের জনগণের ইচ্ছা ও আকাঙ্ক্ষার বিজয়। এভাবে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে গণতন্ত্রের বিজয় অর্জিত হয়েছিল।
প্রশ্ন: কর্মক্ষেত্রে কীভাবে গণতন্ত্রের চর্চা করা যায়?
উত্তর: কর্মক্ষেত্রে কোনো বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে সবার মতামতকে সম্মান দেখানো উচিত। অধিকাংশের মতকে গ্রহণ করার মাধ্যমে গণতন্ত্রের চর্চা করা যায়। কর্মক্ষেত্রে এ
মনোভাব প্রদর্শন করলে কাজের গতি বৃদ্ধি
পায় এবং সফলতাও আসে। কেননা সবাই মতামত প্রদান করলে কাজটি সহজে করা
যেতে পারে। আবার সকলের কাছে কাজটির গুরুত্বও বৃদ্ধি পাবে। ফলে কাজের ক্ষেত্রে
কারও অবহেলা থাকবে না। এতে প্রতিষ্ঠানের সুনাম যেমন বৃদ্ধি পাবে তেমনি জনগণও উপকৃত হবে।
প্রশ্ন: তোমার পাড়ায় গণতন্ত্রের চর্চা করা প্রয়োজন কেন?
উত্তর: যে কারণে আমার পাড়ায় গণতন্ত্রের চর্চা করা প্রয়োজন তা হলো—
১. পাড়ার সকলে মিলেমিশে চলতে শেখার কারণে সমাজে শান্তি ও সম্প্রীতি বজায় থাকবে।
২. পাড়ার সবার মতকে সম্মান এবং অধিকাংশের মত অনুসারে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ফলে পরমতসহিষ্ণুতা বৃদ্ধি পাবে।
৩. পাড়ার সব কিছু সুষ্ঠভাবে পরিচালনা এবং পরস্পরকে সহায়তা করার জন্য গণতন্ত্র চর্চা অপরিহার্য।
৪. গণতন্ত্র চর্চা করলে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে তা করার অভ্যাস গড়ে উঠবে।