পঞ্চম শ্রেণির পড়াশোনা

পঞ্চম শ্রেণি - বাংলা | পাঠ্যবই বহির্ভূত অনুচ্ছেদ

নিচের অনুচ্ছেদটি পড়ে ৩ ও ৪ নম্বর ক্রমিকের প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও

তামিম হাসান তখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিবিএ পড়েন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে থাকেন। একদিন বিকেলবেলা মানিকগঞ্জ থেকে তাঁর মায়ের চিঠি এল। মা লিখেছেন, ‘বাবা, আমি অসুস্থ। তুমি শিগগিরই গ্রামে এসো। তোমাকে দেখতে মন চাচ্ছে।’ চিঠি পড়ে বিচলিত হলেন তামিম হাসান। সব কাজকর্ম স্থগিত রেখে বাড়ির পথে রওনা দিলেন। ঢাকা থেকে তাঁর গ্রামের বাড়ি যাওয়ার সরাসরি কোনো রাস্তা নেই। পথের মাঝখানে একটা বড় নদী। তখন বর্ষাকাল। গভীর রাতে এলেন সেই নদীর কূলে। ঘাটে কোনো নৌকা নেই। মাঝিরা ফিরে গেছে যে যার বাড়িতে। তামিম হাসান জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সাঁতরে পাড়ি দিলেন সেই নদী। পরদিন ভোরবেলা তিনি নিজ গ্রামে মায়ের কাছে পৌঁছান। এ ঘটনাটি মাতৃপ্রেমের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।

৩. সঠিক শব্দটি বাছাই করে নিচের বাক্যগুলোর শূন্যস্থান পূরণ করে উত্তরপত্রে লেখো।

শব্দ―—―—শব্দার্থ

রওনা―—―—যাত্রা শুরু করা

বিচলিত―—―ব্যাকুল

স্থগিত―—――ক্ষান্ত

কূল―—――—তীর

বিরাট―――—অনেক বড়

অসুস্থ―—―—রোগে আক্রান্ত

ক. বিপদে _____ না হয়ে ধৈর্য ধারণ করতে হবে।

খ. ______ ছিলাম তাই স্কুলে আসতে পারিনি।

গ. সবকিছু _____ রেখে পরীক্ষার পড়ায় মন দাও।

ঘ. নদীর _____ ধরে আমরা হেঁটে চললাম।

ঙ. বৃষ্টি থামার পর আমরা _____ হলাম।

৩ নম্বর প্রশ্নের উত্তর

ক. বিচলিত খ. অসুস্থ গ. স্থগিত ঘ. কূল ঙ. রওনা

৪. নিচের প্রশ্নগুলোর উত্তর লেখো।

ক. তামিম হাসানের মা চিঠি দিয়েছিলেন কেন? মায়ের চিঠি পড়ে তাঁর মনের অবস্থা কেমন হয়েছিল, তা চারটি বাক্যে লেখো।

উত্তর: অসুস্থ অবস্থায় সন্তানকে দেখতে মন চাওয়ায় তামিম হাসানের মা চিঠি দিয়েছিলেন।

তামিম হাসান তাঁর মাকে খুব ভালোবাসেন। ফলে মায়ের অসুস্থতার খবর পেয়ে তিনি বিচলিত হয়ে ওঠেন। তিনি মাকে দেখার জন্য অস্থির হয়ে পড়েন। যত দ্রুত সম্ভব তিনি মায়ের কাছে যেতে চান।

খ. তামিম হাসানের বাড়ি যাওয়ার পথটি কেমন ছিল? পাঁচটি বাক্যে লেখো।

উত্তর: তামিম হাসানের বাড়ি যাওয়ার পথটি অনেক কঠিন ছিল। তাঁর গ্রামের বাড়ি যাওয়ার সরাসরি কোনো রাস্তা ছিল না। পথের মধ্যে আবার একটি বড় নদী ছিল। বর্ষাকাল হওয়ায় সেই নদী পানিতে ভরপুর ছিল। রাত হয়ে যাওয়ায় সেই নদীতে পারাপারের কোনো নৌকাও ছিল না।

গ. নদীতে নৌকা ছিল না কেন? যে বিষয় তামিম হাসানকে নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়ার সাহস জুগিয়েছিল, তা চারটি বাক্যে লেখো।

উত্তর: রাত অনেক গভীর হওয়ায় নদীতে নৌকা ছিল না। মায়ের প্রতি তামিম হাসানের ভালোবাসা ছিল প্রচুর। ফলে মায়ের অসুস্থতার খবর তাঁকে করে তুলেছিল বিচলিত। মাকে দেখার জন্য যত দ্রুত সম্ভব বাড়ি পৌঁছানোর তাগিদ ছিল তাঁর মনের মধ্যে। আর এটিই তাঁকে নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়ার সাহস জুগিয়েছিল।

খন্দকার আতিক, শিক্ষক, উইলস লিট্ল ফ্লাওয়ার স্কুল অ্যান্ড কলেজ, ঢাকা

এই বিষয়ের পূর্বের পাঠ্যবই-বহির্ভূত অনুচ্ছেদ | পরবর্তী পাঠ্যবই-বহির্ভূত অনুচ্ছেদ