শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেছেন, নতুন শিক্ষাক্রম চালু হলে শিক্ষাব্যবস্থা সে অনুযায়ী চলবে। তখন জেএসসি পরীক্ষা থাকার কথা নয়। তবে তখন ভিন্নভাবে ভিন্ন পদ্ধতিতে মূল্যায়ন করা হবে।
আজ রোববার শুরু হওয়া এসএসসি পরীক্ষার মতিঝিল সরকারি বালক উচ্চবিদ্যালয় কেন্দ্র পরিদর্শন শেষ সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন শিক্ষামন্ত্রী।
দেশে করোনার প্রাদুর্ভাব দেখা দেওয়ার পর এই প্রথম পাবলিক পরীক্ষায় বসল শিক্ষার্থীরা। সবশেষ ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা হয়েছিল। এ বছরের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় মোট পরীক্ষার্থী ২২ লাখ ২৭ হাজার ১১৩ জন।
সরকার প্রাক্-প্রাথমিক থেকে উচ্চমাধ্যমিক পর্যন্ত নতুন কারিকুলাম করতে যাচ্ছে। এই কারিকুলামে মূল্যায়নব্যবস্থায় বড় রকমের পরিবর্তন আনা হচ্ছে। এতে পরীক্ষা কমিয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ধারাবাহিক মূল্যায়নের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। সেখানে দশম শ্রেণির আগপর্যন্ত কোনো পাবলিক পরীক্ষার কথা বলা নেই। আগামী বছর থেকে প্রথম ও ষষ্ঠ শ্রেণিতে পরীক্ষামূলকভাবে নতুন এই শিক্ষাক্রম শুরু হবে।
নতুন শিক্ষাক্রমে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী (পিইসি) ও জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) পরীক্ষার কথা বলা নেই। তা সত্ত্বেও সমাপনী পরীক্ষা নেওয়ার জন্য ‘প্রাথমিক শিক্ষা বোর্ড’ করার উদ্যোগ নিয়েছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
এ বিষয়ে এক প্রশ্নর জবাবে শিক্ষামন্ত্রী শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেন, শিক্ষা বোর্ড নিয়ে উভয় মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা বলবেন তিনি। তারপর এ বিষয়ে জানাবেন।
আগেই ঘোষণা দেওয়া হয়েছে, গতবারের মতো এবারও জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষা হবে না। তবে মাধ্যমিকে ষষ্ঠ থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত তিন বিষয়ে (বাংলা, ইংরেজি ও গণিত) বার্ষিক পরীক্ষা এবং দশম শ্রেণির প্রাক্-নির্বাচনী পরীক্ষা হবে ২৪ থেকে ৩০ নভেম্বরের মধ্যে। পিইসি পরীক্ষাও হবে না। পঞ্চম শ্রেণিসহ প্রাথমিকের অন্যান্য শ্রেণির জন্য বার্ষিক পরীক্ষাও হচ্ছে না। ওয়ার্কশিটসহ (বাড়ির কাজ) নিজেদের মতো শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করে ওপরের শ্রেণিতে ওঠানোর ব্যবস্থা করবে নিজ নিজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।