গুগল এরই মধ্যে হ্যাংআউটস সুবিধা বন্ধ করে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। আগামী বছরের মধ্যে হ্যাংআউটস ব্যবহারকারীদের গুগল চ্যাটে নিয়ে যাবে প্রতিষ্ঠানটি। এরপরই হ্যাংআউটসকে অবসরে পাঠাবে তারা। বিনা মূল্যেই সব হ্যাংআউটস ব্যবহারকারীরা এ সেবা পাবেন। ব্যবহারকারীরা তাঁদের আলোচনা, কন্টাক্টস ও চ্যাট ইতিহাস নতুন প্ল্যাটফর্মে নিয়ে যেতে পারবেন।
গুগল চ্যাট কীভাবে আলাদা হবে? গুগল চ্যাটে যুক্ত হবে হ্যাংআউটসের নানা ফিচার। এতে আসবে ডিরেক্ট ও গ্রুপ মেসেজিং সুবিধা। এর বাইরে সেন্ড টু ইনবক্স, দ্রুক সার্চ, ইমোজি প্রতিক্রিয়া ও জবাব দেওয়ার বিভিন্ন পরামর্শ সুবিধা থাকবে।
গুগলের পক্ষ থেকে বলা হয়, জিমেইলের মতো ফিশিং বা প্রতারণাপূর্ণ লিংক শেয়ার ঠেকাতে চ্যাটে শক্তিশালী প্রতিরোধ ব্যবস্থা থাকবে। কেউ যদি চ্যাটে লিংক পাঠায়, তখন তা নিরাপদ ব্রাউজিং মোডে দেখা যাবে। ক্ষতিকর লিংক হলে তা ফ্ল্যাগ দেখাবে গুগল।
গুগল ইতিমধ্যে জি স্যুইটকে নতুন ব্র্যান্ড হিসেবে ওয়ার্কস্পেস নাম দিয়েছে। এর আওতায় গুগল মূলত তাদের সব সেবাগুলোকে একীভূত অভিজ্ঞতা দেওয়ার কাজ করছে। গুগল ওয়ার্কস্পেস মূলত জি স্যুইটের মতো কাজ করে। এখানে ব্যবহারকারীদের কাছে গুগলের কাস্টোমাইজড সেবা বিক্রি করে।
নতুন গুগল ওয়ার্কস্পেসে নতুন গুগল ডক তৈরির কাজ চ্যাট উইন্ডোতেই করা যায়। ফলে চ্যাট গ্রুপের সবাই ওই ডকে যুক্ত হতে পারেন। এতে গ্রুপের সদস্যদের মাঝে সহজে ডক শেয়ার করা যায়।
হ্যাংআউটসে ভিডিও কলগুলো নভেম্বর থেকে মিট ব্যবহার করে শুরু হবে। হ্যাংআউটস থেকে ফোন নম্বরে কল যাবে না। টেক্সট মেসেজ ও কলগুলো গুগল মিটে চলে যাবে।
দুই বছর আগেই গ্রাহকদের জন্য অনলাইনে যোগাযোগের জনপ্রিয় সেবা হ্যাংআউটস বন্ধ করে দেওয়ার পরিকল্পনা করার কথা জানিয়েছিল গুগল।
২০১৩ সালে জিচ্যাটের পরিবর্তে হ্যাংআউটস চালু করে গুগল। কিন্তু কয়েক বছর ধরে অ্যাপটি হালনাগাদ করেনি গুগল। অ্যাপটি থেকে এসএমএস মেসেজিং সেবাটিও আলাদা করে ফেলেছে গুগল কর্তৃপক্ষ।
ইন্টারনেটে দ্রুত যোগাযোগের প্ল্যাটফর্ম হিসেবে হ্যাংআউটস চালু করেছিল গুগল। এতে মেসেজিং, ভয়েস চ্যাট, এসএমএস এমনকি ভয়েস ওভার ইন্টারনেট প্রটোকল (ভিওআইপি) ফিচার যুক্ত করে।
হ্যাংআউটস অ্যাপটি সাধারণ গ্রাহকের জন্য বন্ধ হলেও জি স্যুইট ব্যবহারকারীদের জন্য হ্যাংআউটস চ্যাট ও হ্যাংআউটস মিট নামের দুটি সেবা চালু করে গুগল।