দেশে আউটসোর্সিং নিয়ে কাজ করা ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে স্বীকৃতি দিতে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস) আউটসোর্সিং অ্যাওয়ার্ড ২০২১ শুরু করতে যাচ্ছে। আজ বুধবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে বেসিস কার্যালয়ে বেসিস আউটসোর্সিং অ্যাওয়ার্ড ২০২১–এর বিষয়ে এক সংবাদ সম্মেলন হয়। ব্যাংক এশিয়া ও মাস্টারকার্ডের সহযোগিতায় এ পুরস্কার দেবে বেসিস।
বেসিস আউটসোর্সিং অ্যাওয়ার্ড ২০২১–এর আহ্বায়ক ও বেসিস পরিচালক রাশাদ কবির বলেন, ২০১১ সাল থেকে বেসিস আউটসোর্সিং অ্যাওয়ার্ড দিয়ে আসছে। এবার সপ্তমবারের মতো পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে। বিশ্বের ৮০টি দেশে ৩০০টির বেশি সফটওয়্যার রপ্তানি হচ্ছে। আউটসোর্সিং করে যারা বিশ্বের পাশাপাশি দেশেও নিজেদের তুলে ধরছে, তাদের স্বীকৃতি দিতেই এ পুরস্কার।
রাশাদ কবির পুরস্কারের বিস্তারিত তুলে ধরে বলেন, এ বছর ১০০টি পুরস্কার দেবে বেসিস। এক্সপোর্ট একসিলেন্সি ক্যাটাগরিতে ১০টি, ৬৪টি জেলা থেকে আউটসোর্সিংয়ে সেরা ৬৪ জনকে পুরস্কার, স্টার্টআপ ক্যাটাগরিতে ৫টি, অপ্রাতিষ্ঠানিক আউটসোর্সিংয়ে ৫টি, আউটসোর্সিংয়ে ৬ নারীকে পুরস্কার এবং সারা দেশ থেকে সেরা ১০ জনকে পুরস্কৃত করা হবে।
পুরস্কারের জন্য https://outsourcingaward.basis.org.bd/ সাইটে গিয়ে নিবন্ধন করা যাবে। নিবন্ধন কার্যক্রম চলবে ১১ নভেম্বর পর্যন্ত এবং পুরস্কার দেওয়া হবে নভেম্বরের শেষে।
বেসিস সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবীর বলেন, আউটসোর্সিংয়ে বাংলাদেশ অনেক এগিয়েছে। তথ্যপ্রযুক্তি খাতে রপ্তানিতে বাংলাদেশের নাম এখন খুব ভালোভাবেই উচ্চারিত হয়। আউটসোর্সিংয়ের এক-তৃতীয়াংশ আয় আসে অপ্রাতিষ্ঠানিকভাবে। এটি একটি সম্ভাবনাময় খাত। তবে দক্ষতা, অবকাঠামোসহ এখনো বেশ কিছু চ্যালেঞ্জ আছে, যা কাটিয়ে উঠতে সবাই কাজ করছে।
আলমাস কবীর বলেন, আউটসোর্সিংয়ের রপ্তানি একটু একটু করে বাড়ছে। পেওনিয়রের কার্ডে যে টাকা আসছে এর বাইরে অনেক টাকা আসছে নানাভাবে। এই টাকা সঠিক চ্যানেলে আনতে হলে সরকারের ফরেন কারেন্সি নীতিগুলো নিয়ে একটু ভাবা প্রয়োজন। পেপাল দিয়ে টাকা আনার পাশাপাশি টাকা পাঠানোর ব্যবস্থাও রাখতে হবে, নয়তো তারা আসবে না। এ ছাড়া আইসিটি এক্সপোর্টে এখন ১০ শতাংশ নগদ প্রণোদনা দেওয়া হয়। এটিকে ২০ শতাংশ করার অনুরোধ জানান তিনি।
বেসিসের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি ফারহানা এ রহমান বলেন, আউটসোর্সিংয়ে যে যার ঘরে বসে কাজ করে যাচ্ছে। এদের সম্পর্কে জানাও যায় না। কিন্তু এরা বিদেশ থেকে অর্থ আনছে, অর্থনীতিতে অবদান রাখছে। তাদের রোল মডেল ধরে যদি সামনে নিয়ে আসা যায়, তাহলে অন্যরাও উৎসাহিত হবে।
ব্যাংক এশিয়ার জ্যেষ্ঠ কার্যনির্বাহী সহসভাপতি ও আন্তর্জাতিক বিভাগীয় প্রধান মো. জিয়া আরফিন বলেন, বেসিসের সঙ্গে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছে ব্যাংক এশিয়া। একটা দেশ প্রযুক্তি কতটা গ্রহণ করতে পারছে, তার ওপর নির্ভর করবে চতুর্থ শিল্পবিপ্লবে তারা কতটা এগিয়ে যাবে।
সংবাদ সম্মেলনে বেসিসের সহসভাপতি মুশফিকুর রহমানসহ মাস্টারকার্ড বাংলাদেশের প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।