করোনাভাইরাসকে একেবারেই পাত্তা দেননি টেসলারের প্রধান নির্বাহী ও প্রযুক্তি উদ্যোক্তা ইলন মাস্ক। সেই তিনিই এখন বলছেন, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন তিনি। তবে তাঁর এই সংক্রমণের মাত্রা মাঝারি বলেই মনে করছেন তিনি। তিনি করোনা পরীক্ষার ফল পিসিআর পরীক্ষা নাকি র্যাপিড টেস্ট থেকে পেয়েছেন, তা উল্লেখ করেননি। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
ইলন মাস্ক টুইট করে বলেছেন, ‘আমার ক্ষেত্রে উপসর্গ হচ্ছে—মৃদু ঠান্ডা লাগা।’
নিজের করোনা পরীক্ষার ফল জানানোর পাশাপাশি করোনা পরীক্ষার নির্ভরযোগ্যতা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন এ প্রযুক্তি উদ্যোক্তা।
টুইটারে ইলন মাস্ক বলেন, ‘ভিন্ন ভিন্ন ল্যাবে ভিন্ন ফল পেয়েছি। তবে আমার সংক্রমণ মাঝারি মাত্রার বলে ধারণা করছি। আমার উপসর্গ হচ্ছে হালকা ঠান্ডা লাগা। এটা আশ্চর্যের কিছু নয়। কারণ করোনাভাইরাস একধরনের ঠান্ডা লাগার সমস্যা।’
ইলন মাস্ক অবশ্য তাঁর করোনার পরীক্ষা পিসিআর ল্যাবে করিয়েছেন কি না জানাননি। পিসিআর পরীক্ষাকেই র্যাপিড টেস্টের তুলনায় নির্ভরযোগ্য বলে মনে করা হয়।
রোগের উপসর্গ সম্পর্কে টুইটারে ইলন মাস্কের একজন অনুসারী জানতে চাইলে ইলন লিখেছেন, ‘পার্থক্য হালকা এদিক-ওদিক হচ্ছে। অনেকটাই সাধারণত ঠান্ডার মতোই মনে হয়েছে। তবে হাঁচি-কাশির চেয়ে বেশি শরীরে ব্যথা এবং মাথা ভারী মনে হচ্ছে।’
গত বৃহস্পতিবার ইলন মাস্ক করোনা পরীক্ষার ক্ষেত্রে র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্টের সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, একই দিনে একই যন্ত্রে একই পরীক্ষায় তার দুবার পজিটিভ ও দুবার নেগেটিভ ফল আসে।
কোভিড-১৯ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়ার আশঙ্কা গাড়ি দুর্ঘটনায় মারা যাওয়ার চেয়ে কম বলে এক ই-মেইলে স্পেসএক্স কর্মীদের আগেই বলেছিলেন ইলন মাস্ক। বর্তমানে এই মহামারির যে অবস্থা, তা যুক্তরাষ্ট্রের সর্বোচ্চ ১০০ স্বাস্থ্যঝুঁকির তালিকার মধ্যে নেই বলেও জানান তিনি।
করোনাভাইরাসের দুর্যোগকে ছোট করে দেখিয়ে ইলন মাস্কের আরও উক্তি করেছেন। গত এপ্রিলে করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়া বোকামি বলে টুইট করেছিলেন, তাতে সমালোচিতও হয়েছিলেন তিনি।