ছয় বছরের শিশুরা কী করতে পছন্দ করে? সম্ভাব্য উত্তর বোধ হয় খেলাধুলা। সেটা মাঠে দৌড়ঝাঁপ করে হোক কিংবা কম্পিউটারের সামনে মাউস, কি-বোর্ড নিয়ে। কৌটিল্য কাটারিয়াও হয়তো খেলতে পছন্দ করে। তবে তার আগ্রহ বেশি কম্পিউটার প্রোগ্রামিংয়ে। ছয় বছর বয়সেই কম্পিউটারে কঠিন কঠিন কোড লেখায় পারদর্শিতার পরিচয় দিয়েছে সে।
যুক্তরাজ্যের নর্দাম্পটনের কৌটিল্যর বয়স এখন সাত। গত বছরের ৬ সেপ্টেম্বর গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস কর্তৃপক্ষ যখন তাকে বিশ্বের কনিষ্ঠ কম্পিউটার প্রোগ্রামার ঘোষণা করেছিল, তার বয়স ছিল ছয়। এরপর বিশ্বব্যাপী হইচই ফেলে দেয় সে।
ছয় বছরে কম্পিউটার প্রোগ্রামিং অনন্য গুণ তো বটেই। তবু বিশ্ব এফোঁড়-ওফোঁড় করে ফেললে আর কাউকে পাওয়া যাবে না, তা নিশ্চিত করে বলা মুশকিল। কৌটিল্য শিরোনাম হয়েছে কারণ সে পেয়েছে আইবিএমের স্বীকৃতি। প্রোগ্রামিং ভাষা পাইথন এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ওপর আইবিএমের চারটি পেশাদার সার্টিফিকেট কোর্স সম্পন্ন করেছে সে।
আইবিএম এই কোর্সগুলো তাদের ডেভেলপার স্কিল নেটওয়ার্কের মাধ্যমে কোর্সেরা ও এডএক্সসহ অনলাইনে কোর্স করার ওয়েবসাইটগুলোতে বিনা মূল্যে দিয়ে থাকে। কৌটিল্যর বাবা ঈশ্বরী কাটারিয়া সে সম্পর্কে বলেন, ‘করোনাভাইরাসের প্রভাবে ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা এবং লকডাউনের কারণে কৌটিল্য যখন বাসায় অতিরিক্ত সময় পেল, নিজের কৌতূহল মেটাতে সে ডুব দিল প্রযুক্তির জগতে। আমরা তখন অনলাইনে বিনা মূল্যে ভালো কিছু কম্পিউটিং এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কোর্স খোঁজা শুরু করলাম। আইবিএমের কোর্সগুলো সে চাহিদা মিটিয়েছিল।’
শুরুতে পাইথন, জাভাস্ক্রিপ্ট এবং এইচটিএমএল ভাষা দিয়ে কম্পিউটার প্রোগ্রামিং শেখা শুরু করে কৌটিল্য। তবে স্থির হয় পাইথনে। কারণ, কৌটিল্যর মনে হয়েছে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও মেশিন লার্নিং শেখার জন্য এখন বিশ্বের সেরা প্রোগ্রামিং ভাষা হলো পাইথন। ছয় থেকে সাত মাসের প্রশিক্ষণে পাইথনে হাত পাকিয়েছে সে।
পাইথন এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ওপর গত বছরের নভেম্বরে আইবিএমের বেশ কিছু কোর্স করে কৌটিল্য। এডএক্সে আইবিএমের ‘ফাউন্ডেশনস অব এআই প্রফেশনাল সার্টিফিকেশন’ এবং আইবিএম কগনিটিভ ক্লাসে ‘পাইথন ফর ডেটা সায়েন্স’ কোর্স করেছে সে।
অভিভাবক হিসেবে কৌটিল্যর অর্জনে আনন্দিত এবং গর্বিত বলে জানিয়েছেন তাঁর বাবা ঈশ্বরী। তবে এখানেই শেষ নয়। আইবিএমের আরও দুটি প্রোগ্রামিং কোর্স করছে সে। তা ছাড়া কৌটিল্যর দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য আইবিএমের এগিয়ে আসার কথাও শোনা যাচ্ছে।