আগামী বছর হবে ফাইভ-জি স্মার্টফোনের

৫জি স্মার্টফোনের বাজার বড় হচ্ছে
ছবি: রয়টার্স

বিশ্ব করোনাকালে নতুন স্বাভাবিকের সঙ্গে মানিয়ে নিচ্ছে। ধীরে ধীরে চাঙা হচ্ছে স্মার্টফোনের বাজার। তবে এ বছর ফাইভ-জি নেটওয়ার্ক–সমর্থিত স্মার্টফোনের বাজার কিছুটা কমতে দেখা যাবে। কিন্তু আগামী বছর থেকেই ফাইভ-জি স্মার্টফোনের বাজার আবার ঘুরে দাঁড়াবে।

বাজার গবেষণা প্রতিষ্ঠান ক্যানালিসের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। প্রযুক্তিবিষয়ক ওয়েবসাইট ডিজিটাইমসের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

গবেষকেরা ২০১৯ সালের তুলনায় এ বছরে স্মার্টফোনের বাজার ১০ দশমিক ৭ শতাংশ কমতে পারে বলে পূর্বাভাস দিচ্ছেন। তবে ২০২১ সালে বাজার আবার ৯ দশমিক ৯ শতাংশ বাড়তে পারে। আগামী বছরে ১৩০ কোটি ইউনিটের বেশি স্মার্টফোন বিক্রি হবে।

ক্যানালিসের প্রতিবেদনে অনুযায়ী, এ বছরে ফাইভ-জি স্মার্টফোন ২৭ কোটি ৮০ লাখ ইউনিট ছাড়াতে পারে। এ বছর ফাইভ-জি স্মার্টফোন বিক্রি বাড়ার পেছনে ভূমিকা রেখেছে চীন।

দেশটির স্থানীয় বাজারে ফাইভ-জি নেটওয়ার্ক–সমর্থিত স্মার্টফোন বিক্রি বাড়ার ঘটনা এতে প্রভাব ফেলছে। চীন ছাড়াও উত্তর আমেরিকা ও ইউরোপে ফাইভ-জি স্মার্টফোনের বড় বাজার হিসেবে উঠে আসার পূর্বাভাস দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।

ক্যানালিসের বিশ্লেষক সেংতাও জিন বলেন, চীনা বাজার অর্থনীতির যে পরিস্থিতি, তাতে নির্মাতারা সাশ্রয়ী দামের ফাইভ-জি স্মার্টফোন অন্য দেশের বাজারে ছাড়তে অনুমতি দেবে। অন্য দেশে ফাইভ-জি অবকাঠামো প্রস্তুত না থাকলেও চীন সেখানে ফাইভ-জি স্মার্টফোনের সুবিধা দেবে।

আশা করা যাচ্ছে, ২০২১ সালে চীনে যেসব ফাইভ-জি নেটওয়ার্ক–সমর্থিত স্মার্টফোন আসবে, তার দাম ৪০০ মার্কিন ডলারের কম হবে। আগামী এক বছরে চীনে ফাইভ-জি পেনিট্রেশন বা নেটওয়ার্ক ব্যবহারের হার ৮৩ শতাংশে পৌঁছাবে।

ইউরোপের ফাইভ-জি পরিস্থিতি সম্পর্কে প্রতিবেদনে বলা হয়, ইউরোপের বাজারে ফাইভ-জি ফোনে অ্যাপল ও স্যামসাং বাজার দখল করতে পারে।

ক্যানালিসের জ্যেষ্ঠ বিশ্লেষণে বেন স্যান্টন বলেন, মটোরোলা জি ফাইভ-জি প্লাস ও শাওমি এমআই১০ লাইট ফাইভ–জির মতো ফোন ইউরোপে বিক্রি হচ্ছে। কিন্তু অ্যাপলকেন্দ্রিক বাজার যেমন যুক্তরাজ্যের মানুষ এখনো আইফোন ফাইভ–জির অপেক্ষায় রয়েছেন।

ইউরোপে মোবাইল অপারেটরদের আরেকটি মাথাব্যথার কারণ হয়ে আছে চীনা প্রতিষ্ঠান হুয়াওয়ের ফাইভ–জি নিয়ে অনিশ্চয়তা। সাপ্লাই চেনে বাধার কারণে ইউরোপে ফাইভ-জি ফোন বিক্রির সংখ্যা আশানুরূপ হবে না।

দীর্ঘদিন ধরে মনে করা হচ্ছিল, ফাইভ-জি স্মার্টফোনের বাজারে বড় ভূমিকা রাখবে হুয়াওয়ে। কিন্তু মার্কিন নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়া হুয়াওয়ে বর্তমানে বড় ধরনের সমস্যায় পড়েছিল। তাদের জায়গা দখল করতে শাওমি, অপো, টিসিএল বড় ধরনের চেষ্টা চালাবে।